ভূগোল সপ্তম শ্রেণি | West Bengal Secondery Education Board | Class 7 Geography বাংলা মাধ্যমে সম্পূর্ণ গাইড

WB Study Hub হলো পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে WBBSE Board Class 1 থেকে Class 10 পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের নোটস, সাজেশন, প্রশ্নপত্র, সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির টিপস পাওয়া যায়। এখানে শিক্ষার্থীরা সহজ ভাষায় বিস্তারিত পড়াশোনার উপকরণ পাবে যা তাদের পড়াশোনা আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষার্থীদের জন্য WB Study Hub একটি নির্ভরযোগ্য গাইড, যেখানে শিক্ষার্থীরা ফ্রি স্টাডি মেটেরিয়াল, গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন, পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল এবং আপডেটেড সিলেবাস এক জায়গায় পাবে। আমাদের লক্ষ্য হলো পড়াশোনাকে সহজ, আকর্ষণীয় এবং সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলা, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করতে পারে।

👉 যদি আপনি পশ্চিমবঙ্গের WBBSE Madhyamik Exam Preparation বা Class 1–10 Study Notes খুঁজছেন, তবে WB Study Hub হবে আপনার সেরা অনলাইন লার্নিং সাপোর্ট।


Table of Content

  • পৃথিবীর পরিক্রমণ
  • ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়  
  • বায়ুচাপ  
  • ভূমিরূপ  
  • নদী  
  • শিলা ও মাটি  
  • জল দূষণ  
  • মাটি দূষণ  
  • এশিয়া মহাদেশ  
  • আফ্রিকা মহাদেশ  
  • ইউরোপ মহাদেশ 




অধ্যায় : পৃথিবীর 
পরিক্রমণ

১) মহাকর্ষ কি?  
উ:- পৃথিবী তার মধ্যে থাকা সব বস্তুকেই আকর্ষণ করে বা নিজের কেন্দ্রের দিকে টানে এটাই হল মহাকর্ষ।
    
মহাকর্ষ

২) পৃথিবী সূর্যের তুলনায় কত ছোট?  
উ:-  ১৩ লক্ষ গুণ।  
৩) পৃথিবীর নিজের অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করতে কতটা সময় লাগে?  
উ:- ২৪ ঘন্টা।  
৪) পৃথিবীর অক্ষ কাকে বলে?  
উ:- যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে সেটাই হলো পৃথিবীর অক্ষ বা Earth's Axis।  
৫) মেরু কাকে বলে?  
উ:- পৃথিবীর যে দুটি প্রান্তে একটি কল্পিত অক্ষদন্ড দুটি বেরিয়ে থাকার কথা সেই প্রান্ত দুটি হলো মেরু।উপরের প্রান্তটা উত্তর মেরু আর নিচের প্রান্তটা দক্ষিণ মেরু।
৬) আমাদের দেশ অর্থাৎ ভারত বর্ষ পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থিত?  
উ:- আমাদের দেশ রয়েছে নিরক্ষবৃত্ত এবং উত্তর মেরুর মাঝের অঞ্চলে অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে।  
৭) বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি কাকে বলে?  
উ:- পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করতে করতে নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অর্থাৎ কিনা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে নির্দিষ্ট সমযয়ে (প্রায় ৩৬৫ দিনে) সূর্যের চারিদিকে ঘোরে বা পরিক্রমণ করে। এটাই হল পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি।  
৮) বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির বেগ কত ?  
উ:- সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। 
৯)  মুক্তিবেগ কাকে বলে ?  
উ :- কোন বস্তুকে যদি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১১.২ কিলোমিটার গতিবেগে উপরের দিকে ছুরতে পারলে সেটা নিচের দিকে পড়ে না মহাশূন্যে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকবে। একেই মুক্তিবেগ বা Escape Velocity বলে। 
মুক্তি বেগ
১০) পৃথিবী সূর্যের থেকে কত দূরে অবস্থিত রয়েছে? 
উ:- প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।  
১১) কক্ষপথ কাকে বলে?  
উ :- পৃথিবী যে পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে সেটাই পৃথিবীর কক্ষপথ।  
১২) কক্ষ তল কাকে বলে?   
উ:- পৃথিবীর কক্ষপথ মহাশূন্যে যে কাল্পনিক সমতলে অবস্থিত সেটাই পৃথিবীর কক্ষতল।
পৃথিবীর কক্ষপথ ও কক্ষতল 

১৩) কেপলারের প্রথম সূত্রে কি বলা হয়েছে?  
উ:- প্রতিটি গ্রহ উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং সূর্য উপবৃত্তের একটি ফোকাসে থাকে।  
১৪) কখন আমরা সূর্যের বেশি কাছে আসি?  
উ:- জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পৃথিবীর সূর্য থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।  
৪ঠা জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিলোমিটার। একে পৃথিবীর অপসুর অবস্থান বলা হয়।  
৩ রা জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয় প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিলোমিটার। একে পৃথিবীর অনুসুর অবস্থান বলা হয়।
১৫) সময়কে মাপার কয়টি প্রাকৃতিক উপায় আছে?  
উ:- সময়কে মাপার তিনটে প্রাকৃতিক উপায় আছে।  
১৬) চান্দ্র মাস কাকে বলে?  
উ:- পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীকে প্রায় 27 পূর্ণ একের তিন দিনে প্রদক্ষিণ করে এই সময়টাকে চন্দ্র মাস বলা হয়।  
১৭) সৌর বছর কাকে বলে?  
উ:- পৃথিবী সূর্যকে প্রায় ৩৬৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে এই সময়টাকে বলায় সৌর বছর।  
১৮) লিপিয়ার কাকে বলে বা অধিবর্ষ কাকে বলে?  
উ:- প্রতি চার বছর অন্তর ৩৬৬ দিনে এক বছর হয়। লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলা হয়।  
১৯) কখন দিন বড় রাত ছোট হয়?  
উ:- যখন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে তখন উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন গুলি বড় আর রাত ছোট হতে থাকে অর্থাৎ দিনের আলো অনেকক্ষণ পাওয়া যায়। সারাদিন ধরে সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয় অথচ রাত ছোট হয় তেমন ঠান্ডা হওয়ায় সময় পায় না। দিনের পর দিন এরকম হলে গরম বাড়তে থাকে সেই সময় উত্তর গোলার্ধ রশ্মি পড়ে অনেক লম্বা হয়।  
২০) সূর্যের দৈনিক আপাত গতি কাকে বলে?  
উ:- পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে বলে আপাতদৃষ্টিতে সূর্যকে প্রতিদিন পূর্ব আকাশে থেকে পশ্চিম আকাশে চলাচল করছে বলে মনে হয়। এটাই সূর্যের দৈনিক আপাতত গতি।  
২১) মার্গ কথার অর্থ কি?  
উ:- মার্গ কথার অর্থ হলো পথ।  
২২) উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়ন কাকে বলে?  
উ:- ২২ ডিসেম্বর থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ৬ মাস ধরে সূর্যের উত্তর মুখে আপাত গতি হল উত্তরায়ন এবং একইভাবে ২১ জুন থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় ধরে সূর্যের দক্ষিণ মুখী আপাতগতি হলে দক্ষিণায়ন।  
২৩) কখন দিনও রাত সমান হয়?  
উ:- পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে ২১ মার্চ তারিখে এমন একটা জায়গায় চলে আসে যে বিষুবরেখায় লম্বভাবে সূর্যের আলো পড়ে। তাই দিনরাত এই দিন পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত সব জায়গায় দিন রাত্রে সমান হয় l  
২৪) বিষুব কথার অর্থ কি ?  
উ:- সমান দিন ও রাত্রি।
২৫) মহাবিষুব কাকে বলে?  
উ:- দিন এবং রাত প্রায় সমান হওয়ায় মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে আবহাওয়া টাও থাকে গরম ঠান্ডার মাঝামাঝি।  উত্তর গোলার্ধে এই সময় বসন্তকাল হয়। তাই ২১ মার্চের বিষুবকে উত্তর গোলার্ধে বসন্তকালীন বিষুব বা মহাবিষুব বলা হয় ।
২৬) উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মকাল কেমন হয়?  
উ:- ২১ মার্চের বিষুবের পর থেকে পৃথিবী ধীরে ধীরে এমন একটা জায়গায় আসতে থাকে যখন সূর্য রশ্মি ক্রমশ উত্তর গোলার্ধ লম্বভাবে পড়তে থাকে। এর ফলে উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড় হয় আর রাত ছোট হয়। সূর্যের উত্তর আর এই সময়টাকে গ্রীষ্মকাল বলা হয়।  
২৬) কোন দিনকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয়?  
উ:- ২১ জুন কে।  
২৭) শরৎকালীন বিষুব বা জল বিষুব কাকে বলে ?  
উ:- ২৩ শে সেপ্টেম্বর তারিখে কক্ষপথে পৃথিবী এমন একটা জায়গায় আছে যে বিষুবরেখায় সূর্যের রশ্মি লম্বভাবে পড়ে। ফলে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত সর্বত্র অর্থাৎ কিনা সব জায়গায় দিন রাত সমান হয়।  ২১ মার্চের মতো এই দিনটা বিষুব। এই সময়ে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস আবহাওয়া ঠান্ডা গরমের মাঝামাঝি থাকে। উত্তর গোলার্ধে এই সময় শরৎকাল হয় এ কারণে দেশে সেপ্টেম্বরে বিষুবকে শরৎকালীন বিষুব বা জল বিষুব বলা হয়।  
২৮) মকর সংক্রান্তি কাকে বলে?  
উ:- ২৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই পৃথিবী ধীরে ধীরে এমন একটা জায়গায় আছে যখন সূর্যের রশ্মি লম্বভাবে ক্রমশ দক্ষিণ গোলার্ধ পড়তে থাকে। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধ দিন বড় আর রাত ছোট হতে থাকে। সূর্যের দক্ষিণায়নের এই সময়টা উত্তর গোলার্ধে শীতকাল আর দক্ষিণ গোলার্ধে গরম কাল। 
২৯) বড়দিন আসলে কি বড়দিন?  
উ:- ২২ ডিসেম্বর মকর সংক্রান্তির কয়েকদিন পরেই যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর আসলে ওই সময় থেকে উত্তর গোলার্ধে দিন বড় হতে শুরু করে।  
৩০) আলোকিত রাত্রি এবং অন্ধকার দিন- ব্যাখ্যা কর।  
উ:- ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে এসেছি দিনের পর রাত আর রাতের পর দিন বাঁধা নিয়মে আসে আর যায়। কিন্তু দিনের আলো আর রাতের অন্ধকারের পালাবদলের ব্যাপারটা পৃথিবীর সব জায়গায় আমাদের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে মেলে না।  
পৃথিবীর দুই মেরুতে সারা বছরই সূর্যের আলো তীর্যকভাবে পড়ে। মার্চ মাস থেকে জুলাই মাসের সেই সময়টা উত্তর গোলার্ধ সুমেরু বৃত্তীয় অঞ্চলে সূর্য কখনো দিগন্তের নিচ থেকে ওঠে না বা অস্ত যায় না। সূর্য প্রায় দিগন্তের সমান্তরালে আকাশের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে চলাচল করে। এ সময় ২৪ ঘন্টায় একটানা দিনের আলো থাকে অর্থাৎ স্থানীয় সময় অনুযায়ী তখন রাত হওয়া সত্ত্বেও সূর্যকে আকাশে দেখা যায়। আবার সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারির এই সময়টাই একইভাবে দক্ষিণ অঞ্চলে গোলার্ধে কুমেরু বৃত্ত অঞ্চলে এইরকম আলোকিত রাত্রিসহ একটানা দিন হয়।
৩১) মধ্য রাতের সূর্যের দেশ কাকে বলে? কেন বলা হয়?  
উ:- মার্চ থেকে জুন বা জুলাই এই সময়ে কানাডা, ডেনমার্ক, আলাস্কা, নরওয়ে, সুইডেন এবং আইসল্যান্ডের অনেক জায়গায় থেকে স্থানীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাত্রিতে কিছু সময়ের জন্য দিগন্ত রেখায় সূর্যকে দেখা যায়। নরওয়ের উত্তরে হেমারফেস্ট বন্দরে মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সূর্যকে রাতের বেলা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তাই মধ্যরাতের সূর্যের দেশ বলা হয়। 

  




অধ্যায়ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়  

১) পৃথিবীপৃষ্ঠের ওপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ কল্পিত রেখা কি কি?  
উ:- নিরক্ষরেখা এবং দ্রাঘিমা রেখা।  


২) নিরক্ষরেখার অবস্থান কোথায়?  
উ:- নিরক্ষরেখা পৃথিবীর ঠিক মাঝখান দিয়ে পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত।  
৩) নিরক্ষরেখার মান কত?  
উ:- শূন্য ডিগ্রী।  
৪) দ্রাঘিমা রেখার মান কত?  
উ:- শূন্য ডিগ্রি।  
৫) দ্রাঘিমা রেখা বা মূল মধ্যরেখা কোথা দিয়ে গেছে?  
উ:- মূল মধ্যরেখা গ্রেটার লন্ডনের রয়্যাল ম্যান মন্দির নামক স্থানের উপর দিয়ে গেছে।  
৬) অক্ষরেখা কাকে বলে?  
উ:- নিরক্ষরেখার সমান্তরালে পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত কল্পিত রেখা গুলোকে অক্ষরেখা বলা হয়।  
৭) দ্রাঘিমা রেখা কাকে বলে?  
উ:- পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত উত্তর দক্ষিনে বিস্তৃত কল্পিত রেখাগুলোকে বলা হয় দ্রাঘিমা রেখা।  
৮) অক্ষ রেখার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।  
উ:- অক্ষরেখার দুটি বৈশিষ্ট্য হল- অক্ষরেখা গুলি পরস্পর সমান্তরাল হয় এবং অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত হয়।  
৯) উত্তর অক্ষরেখা এবং দক্ষিণ অক্ষরেখা কাকে বলে?  
উ:- নিরক্ষরেখা উত্তরের অক্ষ রেখা গুলোকে বলা হয় উত্তর অক্ষরেখা ও নিরক্ষরেখার দক্ষিণের অক্ষরেখা গুলোকে বলা হয় দক্ষিণ অক্ষরেখা।  
১০) উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুর মান বিন্দু কত?  
উ:- ৯০ ডিগ্রি উত্তর এবং ৯০ ডিগ্রী দক্ষিণ।  
১১) কলকাতার অবস্থান কোথায়?  
উ:- কলকাতার অবস্থান ২২ ডিগ্রি ৩৪ মিনিট উত্তর অক্ষরেখার উপর।  
১২) অক্ষাংশ কাকে বলে? 
উ:- পৃথিবীবৃষ্ঠে যে কোন জায়গা পৃথিবীর কেন্দ্রে নিরক্ষরেখা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত টানা সরলরেখার সঙ্গে যে কোন তৈরি করে তাই হল ওই স্থানের অক্ষাংশ।  
১৩) পৃথিবীপৃষ্ঠে কোন স্থান কতটা পূর্বে বা কতটা পশ্চিমে তা ঠিক বুঝতে কোন রেখার সাহায্য নিতে হয়?  
উ:- মূল মধ্যরেখার।  
১৪) দ্রাঘিমা রেখার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।  
উ:- দ্রাঘিমা রেখার বৈশিষ্ট্য গুলি হল- দ্রাঘিমা রেখা গুলির পরস্পর সমান্তরাল হয় এবং দ্রাঘিমা রেখা গুলি অর্ধবৃত্ত হয়।  
১৫) পূর্ব দ্রাঘিমা কাকে বলে এবং পশ্চিম দ্রাঘিমা কাকে বলে?  
উ:-  মূল মধ্য রেখার পশ্চিমের দ্রাঘিমা রেখা গুলি হল পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা এবং দ্রাঘিমা রেখার পূর্বদিকে দ্রাঘিমা রেখা গুলিকে বলা হয় পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা।  
১৬) স্থানীয় সময় কাকে বলে?  
উ:- দ্রাঘিমা অনুযায়ী কোন স্থানের সময় কে বলা হয় ওই স্থানের স্থানীয় সময় বা লোকাল টাইম।  
১৭) G.P.S - এর পুরো কথা কি?  
উ:- গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম।  
১৮) জিপিএস কি কাজে লাগে?  
উ:- পৃথিবীর যে কোন জায়গার অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমা জানার জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা কার্যকরী। বর্তমানে জাহাজে, বিমানে, আধুনিক গাড়ি, মোবাইল ফোনে জিপিএস থাকে।  
 


অধ্যায় :বায়ুচাপ













অধ্যায়় ১১ : ইউরোপ মহাদেশ 



১) পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম মহাদেশ কোনটা ?

উ :- ইউরোপ।

২) শিল্প বিপ্লব এবং আধুনিক যন্ত্র নির্ভর সভ্যতার বিকাশ কোন মহাদেশে প্রথম হয়েছিল ?

উ :- ইউরোপে।

৩) ইউরোপ মহাদেশের পূর্ব দিকে কি কি রয়েছে ?

উ :- এশিয়া মহাদেশ এবং কাস্পিয়ান সাগর। 

৪) ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ দিকে কি কি রয়েছে ?

উ :- জিব্রাল্টার প্রণালী আর ভূমধ্যসাগর আর কৃষ্ণ সাগর। 

৫) ইউরোপ মহাদেশে মোট কয়টি দেশ আছে ?

উ :- ৫৬ টি। 

৬) ইউরোপ মহাদেশের দুটি বিখ্যাত শহরের নাম লেখ। 

উ :- লন্ডন, প্যারিস। 

৭) ইউরোপ মহাদেশের সমৃদ্ধির দুটি কারণ লেখ। 

উ :- ইউরোপ মহাদেশের সমৃদ্ধির দুটি কারণ হলো -ক) ইউরোপ মহাদেশ উত্তর গোলার্ধের স্থলভাগের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করার জন্য সব মহাদেশের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা রয়েছে। খ) ইউরোপ মহাদেশের সরলবর্গীয় বনভূমিতে প্রচুর করে নরম কাঠ পাওয়া যায়, যা কাগজ এবং কাষ্ঠ শিল্পের উন্নতি করতে সক্ষম।

৮) আলপ্স পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটা এবং তার উচ্চতা কত ?

উ :- মঁ ব্লা। উচ্চতা হল ৪৮০৮ মিটার। 

৯) ককেশাস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটা এবং সেটার উচ্চতা কত ?

উ :- মাউন্ট এলবুর্জ ৫৬৪২ মিটার। 
১০) কোন দেশকে 'হাজার হ্রদের দেশ' বলা হয় এবং কেন বলা হয়?  

উ :- ইউরোপের ফিনল্যান্ডে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি হ্রদ থাকার জন্য ফিনল্যান্ডকে 'হাজার হ্রদের দেশ' বলা হয়।  

১১) ইউরোপের বৃহত্তম হ্রদ কোনটা?  

উ :- ল্যাডোগা। 

১২) ইউরোপের ব্যস্ততম অভ্যন্তরীণ জলপথ কোনটা?  

উ :- রাইন।  

১৩) ইতালির দীর্ঘতম নদী কোনটা?  

উ :- পো। 

১৪) শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক নদী কোনটি?  

উ :- দারিযুব। 

১৫) ইউরোপের দীর্ঘতম নদী কোনটি?  

উ :- ভলগা। 

১৬) সাধারণভাবে ইউরোপের জলবায়ু কেমন প্রকৃতির?  

উ :- নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির।  

১৭) ইউরোপের তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল কোন কোন জায়গা জুড়ে বিস্তৃত?  

উ :- ইউরোপের উত্তর অংশে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার উত্তরাংশে।  

১৮) ইউরোপের সরলবর্গীয় অরন্যে কোন কোন গাছ দেখতে পাওয়া যায়?  

উ :- পাইন, লার্চ, ফার, বার্চ আর ওল্ডার। 

১৯) ইউরোপ মহাদেশের ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে কোন কোন গাছ দেখতে পাওয়া যায়?  

উ :- জলপাই, ডুমুর, কর্ক, ওক, সিডার প্রভৃতি গাছ দেখতে পাওয়া যায়।  

২০) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কি জন্মায় ? 

উ :- আঙুর এবং কমলা লেবু।  

 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তৃতীয় শ্রেণি পাতাবাহার বাংলা বই PDF | পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WB Primary Board)

আমাদের পরিবেশ তৃতীয় শ্রেণি প্রশ্নোত্তর | পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সিলেবাস ও সমাধান

Easy English Grammar Learning: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) বাংলামাধ্যম শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ গাইড