তৃতীয় শ্রেণি পাতাবাহার বাংলা বই PDF | পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WB Primary Board)

WB Study Hub হলো পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে WBBSE Board Class 1 থেকে Class 10 পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের নোটস, সাজেশন, প্রশ্নপত্র, সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির টিপস পাওয়া যায়। এখানে শিক্ষার্থীরা সহজ ভাষায় বিস্তারিত পড়াশোনার উপকরণ পাবে যা তাদের পড়াশোনা আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষার্থীদের জন্য WB Study Hub একটি নির্ভরযোগ্য গাইড, যেখানে শিক্ষার্থীরা ফ্রি স্টাডি মেটেরিয়াল, গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন, পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল এবং আপডেটেড সিলেবাস এক জায়গায় পাবে। আমাদের লক্ষ্য হলো পড়াশোনাকে সহজ, আকর্ষণীয় এবং সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলা, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করতে পারে।
👉 যদি আপনি পশ্চিমবঙ্গের WBBSE Madhyamik Exam Preparation বা Class 1–10 Study Notes খুঁজছেন, তবে WB Study Hub হবে আপনার সেরা অনলাইন লার্নিং সাপোর্ট।


Table of Content

  • সত্যি সোনা  
  • আমরা চাষ করি আনন্দে  
  • নিজের হাতে নিজের কাজ  
  • দেয়ালের ছবি  
  • সারাদিন  
  • ফুল  
  • আজ ধানের ক্ষেতে 
  • সোনা  
  • নদী  
  • নদীর তীরে একা  
  • নৌকা যাত্রা  
  • ঢেউয়ের তালে তালে  
  • পর্যটন  
  • গাছেরা কেন চলাফেরা করে না  
  • জুঁই ফুলের রুমাল  
  • সাথী  
  • একা একা থাকতে নেই  
  • আরাম  
  • হিংসুটি  
  • মন কেমনের গল্প  
  • দেশের মাটি  
  • কিসের থেকে কি যে হয়  
  • আগমনী  
  • উড়ুক্কু ভূত  
  • কে ছিলেন ইশপ  
  • পান্তা বুড়ি  
  • ঘুমিয়ো নাকো আর 



অধ্যায় : সত্যি সোনা

১) 'সত্যি সোনা' গল্পটি কার লেখা? উ :- 'সত্যি সোনা' গল্পটি একটি প্রচলিত গল্প। ২) কার কঠিন অসুখ করেছে? উ :- বুড়ো চাষির কঠিন অসুখ করেছে। ৩) বুড়ো চাষি তার ছেলেকে ডেকে কি বললে? উ :- বুড়ো চাষি তার ছেলেকে ডেকে বললো -"ওহে বাপু, আমার দিন ফুরিয়ে এসেছে যাওয়ার সময় তোমাকে একটা দরকারি কথা বলে যাই"। ৪) চাষির ছেলে কেমন প্রকৃতির? উ :- ভারী অলস প্রকৃতির। অথচ টাকা-পয়সার লোভ তার ষোলো আনা। ৫) ছেলের চোখ লোভে চকচক করে উঠলো কেন? উ :- বুড়ো চাষী তার ছেলেকে যখন বলল যে আমাদের চাষের জমির নিচে সোনা লুকানো আছে, তখন এই কথা শুনে চাষির ছেলের চোখ লোভে চকচক করে উঠলো। ৬) বুড়ো চাষির ছেলের বউ কেমন? উ :- খুব বুদ্ধিমতী। ৭) চাষির ছেলে কিসের কথা ভাবতে পারতো না? উ :- ছেলে জমি চাষাবাদ করার কথা ভাবতে পারেনা। ৮) বুড়ো চাষির সংসারে কে কে ছিল ? উ :- বুড়ো চাষি, তার ছেলে আর ছেলের বউ। ৯) বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো ? উ :- লোভে চক চক করে উঠলো। ১০) বুড়ো চাষি কোন কথাটা তার ছেলেকে বলে যান নি ? উ :- জমির কোন জায়গায় সোনা পোঁতা আছে, সেটা বলে যান নি। ১১) চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়ে ছিল? উ :- পাঁচ বিঘা। ১২) চাষির ছেলের প্রথম রোজকারে কে খুশি হয়েছিল? উ :- চাষির ছেলের বউ। ১৩) কোদাল ছাড়া আর কি কি জিনিস দিয়ে মাটি কাটা যায়? উ :- নিড়ানি, শাবল ইত্যাদি। ১৪) চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা কোথায় বিক্রি করে এলো? উ :- হাটে। ১৫) 'ষোলো আনা' শব্দের অর্থ কি উ :- পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ। ১৬) 'গরিমসি' শব্দের অর্থ কি? উ :- আলসেমি। ১৭) চাষির ছেলে নিজের চাষাবাদ করার কথা ভাবতে পারতো না কেন? উ :- চাষির ছেলে ছিল ভীষণ অলস। কিন্তু টাকা পয়সার লোভ ভীষণ ছিল। সে সারাদিন রাত শুয়ে বসে দিন কাটাতো। তাই সে নিজে চাষ করার কথা ভাবতে পারতো না। ১৮) শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার কারন কি ছিল? উ:- তার বাবার কথামতো তাদের লুকানো সোনা খুঁজে পাওয়ার জন্য চাষির ছেলে নিজে চাষের কাজ করতে গিয়েছিল। ১৯) চাষির ছেলের বউ কোন সময়কে বীজকে বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে? উ:- চাষির ছেলের বউ বর্ষা কালকে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে। ২০) সে কোথা থেকে বীজ কিনে এনেছিল? উ:- সে হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল। ২১) গল্পের কোন মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? উ :- নিজে লেখ।

 
অধ্যায় : আমরা চাষ করি আনন্দে


১) 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতাটি কার লেখা? 
 উ:- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।  
২) কোথায় পাতা নড়ে? 
উ:- বাঁশের বনে পাতা নড়ে। 
৩) কিসের গন্ধে বাতাস ভরে ওঠে?  
উ:- চষা মাটির গন্ধে। 
৪) কে নিত্য দোদুল ছন্দে মেতে ওঠে?  
উ:- তরুণ কবি।  
৫) 'পুলক' শব্দের অর্থ কি? 
উ:- 'পুলক' শব্দের অর্থ হলো আনন্দ।  
৬) কোথায় পুলক ছোটে? 
উ:- ধানের শিষে পুলক ছুটে।  
৭) 'ধরা' শব্দের অর্থ কি?  
উ:- 'ধরা' শব্দের অর্থ হলো পৃথিবী। 
 ৮) চাষ করার জমি কে কি বলা হয়?  
উ:- চাষ করার জমিকে ক্ষেত বলা হয়।  
৯) চাষের কাজে কোন কোন জিনিস না হলে চলে না?  
উ:- কাজে যে যে জিনিস না হলে চলে না সেগুলি হল কোদাল, লাঙ্গল ইত্যাদি।  
১০) ধান গাছ থেকে আমরা কি কি জিনিস পাই?  
উ:- চাল, খড় পাই। 
 ১১) অঘ্রান মাসটির পুরো নাম কি? 
 উ:- অগ্রহায়ণ।  
১২) অঘ্রাণ মাসের আগের মাসের নাম কি?  
উ:- অঘ্রাণ মাসের আগের মাসের নাম হল কার্তিক মাস। 
১৩) অঘ্রাণ মাসের পরের মাসের নাম কি?  
উ:- অঘ্রান মাসের পরের মাসের নাম হল পৌষ মাস। 
১৪) অঘ্রাণ মাসে কোন ঋতু চলে?  
উ:- হেমন্ত ঋতু।  
১৫) যারা কবিতা লেখেন তাদের কি বলা হয়?  
উ:- যারা কবিতা লেখেন তাদের কবি বলা হয়।  
১৬) যারা কাঠ দিয়ে খাট চেয়ার টেবিল আলনা দরজা জানলা জানালা বানান তাদের কি বলা হয়?  
উ:- তাদের ছুতোর বলা হয়।  
১৭) যারা ইটের বাড়ি বানান তাদের কি বলা হয়?  
উ:- রাজমিস্ত্রি বলা হয় । 
১৮) যারা মাটির বাড়ি বানান তাদের কি বলা হয়? 
উ:- ঘরামি বলা হয়।  
১৯) যারা মাছ ধরেন তাদের কি বলা হয়?  
উ:- জেলে বলা হয়।  
২০) সারাদিন বৃষ্টি হলে তুমি দিনটি কিভাবে কাটাবের নিচে চার লাইনে লেখো।  
উ:- সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। তারপর একটু পরে কাগজের নৌকো বানিয়ে জলে ভাসালাম। তারপরে বৃষ্টিতে ভিজে স্নান করলাম। তারপর মায়ের হাতে বানানো খিচুড়ি আর আলু ভাজা খেয়ে ভূতের গল্পের বই পড়তে লাগলাম।। তারপর বিকেলে লুডু আর চোর পুলিশ ইত্যাদি খেললাম।  



অধ্যায় : নিজের হাতে নিজের কাজ


১) একজন ডাক্তারবাবু কিভাবে সমাজের সেবা করে থাকেন?  
উ:- একজন ডাক্তারবাবু সমাজের সেবা করে থাকেন রোগীদের সেবা করে। 
২)  কোথায় কোথায় কুলিদের কাজ করতে দেখা যায়? 
উ:- রেলওয়ে স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে।  
৩) বাঙালি ডাক্তারবাবু কোন স্টেশনে নামলেন?  
উ:- কারমাটার স্টেশনে।  
৪) গল্পে কুলিটি ডাক্তারবাবুর ব্যাগটি কিভাবে বয়ে নিয়ে গেলেন? 
 উ:- মাথায় করে বয়ে নিয়ে গেলেন।  
৫) ডাক্তারবাবুর ব্যাগটি নিয়ে কুলিটি কোথায় তুলে দিলেন? 
উ:- কুলিটি ডাক্তারবাবুর ব্যাগ মাথায় করে নিয়ে গিয়ে স্টেশনের বাইরে অপেক্ষারত পালকিতে তুলে দিলেন।  
৬) কুলিটি তার নিজের নাম কি বলেছিলেন?  
উ:- ঈশ্বর চন্দ্র শর্মা।  
৭) 'অপেক্ষারত' শব্দের অর্থ কি?  
উ:- যিনি অপেক্ষা করছেন।  
৮) 'পারিশ্রমিক' শব্দের অর্থ কি?  
উ:- 'পারিশ্রমিক' শব্দের অর্থ হলো মজুরি।  
৯) কার নিজে হাতে ব্যাগ বইতে লজ্জাবোধ হয়েছিল?  
উ:- ডাক্তারবাবুর।  
১০) ব্যাগ বইতে তার লজ্জা হওয়ার কারণ কি ছিল?  
উ:- ব্যাগটি ছোট কিন্তু মানুষটি যে সম্মানে বড়ো। ডাক্তার বলে কথা। তাই নিজের হাতে নিজে ব্যাগ বইতে লজ্জাবোধ হয়।  
১১) ডাক্তারবাবু কেন কুলিকে পয়সা দিতে গিয়েছিলেন?  
উ:- ডাক্তার বাবু উদার মনোভাবের মানুষ। তাই তিনি কুলি কে ডেকে তার হাতে পয়সা দিতে গেলেন তার পারিশ্রমিক হিসেবে।  
১২) ডাক্তারবাবুর দিতে চাওয়া পয়সা কুলিটি নিলেন না কেন?  
উ:- কুলিটি পয়সা নিলেন না কারণ তিনি বললেন যে তিনি ডাক্তারবাবু বিপদে পড়েছিলেন তাই তিনি সাহায্য করেছেন মাত্র।  
১৩) গল্পের ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা কে কি নামে চিনি? 
উ :- বিদ্যাসাগর নামে।



অধ্যায় : দেয়ালের ছবি 


১) দেয়ালে আঁকা ছবি তুমি কোথায় কোথায় দেখেছো?  
উ:- দেয়ালে আঁকা ছবি আমি ঘরে দেখেছি আর জাদু ঘরে দেখেছি। 
২) অনেক অনেক দিন আগে মানুষ কোথায় বাস করত? 
উ:- অনেক অনেক দিন আগে মানুষ বনে গুহায় বাস করত।  
৩) 'দাওয়া' শব্দের অর্থ কি? 
 উ:- বারান্দা।  
৪) দেয়ালের ছবিটি কে এঁকেছিল?  
উ:- শিকারির বাবা।  
৫) অনেক অনেক দিন আগে আমাদের দেশে কি ছিল? 
উ:- ঘন বন ছিল।  
৬) বনের পশু পাখিরা শিকারিকে কি করতো? 
উ:- ভয় করত।  
৭) গল্পের বাঘটি ভালো কি করতে পারতো? 
 উ:- কথা বলতে পারতো।  
৮) শিকারি বাঘকে খেতে দিয়েছিল কি?  
উ:- ঠান্ডা জল।  
৯) গল্পের শিকারিটির কিভাবে দিন কাটাতো? 
 উ:- শিকারিটি সবসময় বনে বনে ঘুরত। তার ছিল না কোন ভয়ডর। গাছের ফল খায় পাখি শিকার করে বনেই রান্না করে খায়। অনেক আনন্দে থাকতো।  
১০) বনে শিকারির প্রিয় বন্ধুটিকে? 
 উ:- বনে শিকারির প্রিয় বন্ধুটি ছিল বাঘ।  
১১) তাকে সে একদিন কি প্রস্তাব দিল?  
উ:- শিকারি তার প্রিয় বন্ধুকে একদিন তার বাড়িতে খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করল। 
১২) গল্পের শিকারির বাড়িটি কোথায় ছিল?  
উ:- বনের ধারে গাঁয়ে থাকতো শিকারি। 
১৩) শিকারি তার বাড়িতে প্রিয় বন্ধুর যত্ন কিভাবে করেছিল?  
উ:- শিকারি লোটায় করে পুকুরের ঠান্ডা জল এনে দিল।। বাঘ জিভ দিয়ে চেটে চেটে লোটার জল খেলো।  
১৪) শিকারিটির ঘরবাড়ির চেহারা কেমন ছিল?  
উ:- শিকারিটির বাড়ি ছিম ছাম পরিষ্কার সুন্দর। 
১৫) বাঘটা দেয়ালে কিসের ছবি দেখলো?  
উ:- বাঘটা হঠাৎ ঘরের দেয়ালে একটা আঁকা ছবি দেখতে পেল। দেখলো একজন মানুষ শিকারী দাঁড়িয়ে রয়েছে তার হাতে তীর ধনুক আর মাটিতে শুয়ে রয়েছে একটা বাঘ।  
১৬) শিকারি নিজের ঠাকুরদার সম্পর্কে কোন কথা বাঘকে বলল? 
উ:- বাঘ বলল তার ঠাকুরদা মস্ত শিকারি ছিলেন। তিনি তিনি বাঘ নেকড়ে চিতা কাউকে ভয় পেতেন না। তিনি মস্ত শিকারি ছিলেন।

অধ্যায় : সারাদিন

১) 'সারাদিন' কবিতাটি কার লেখা?  
উ:- সুনির্মল চক্রবর্তী লেখা।  
২) খাতা ছাড়া আর কোথায় কোথায় মানুষকে লিখতে দেখেছো তুমি?  
উ:- খাতা ছাড়া আর বোর্ড, শ্লেট, দেয়াল ইত্যাদি জায়গায় লিখতে দেখেছি। 
৩) লেখালেখি ছাড়া খাতায় তুমি আর কি কি করেছো?  
উ:- আঁকা। 
৪) খাতার পৃষ্ঠা দিয়ে কি কি খেলা ছোটোরা খেলতে পারে?  
উ:-নৌকা বানানো, উড়োজাহাজ বানানো ইত্যাদি । 
৫) ছবি আঁকার খাতা আর লেখার খাতার তফাৎ কোথায়?  
উ:- ছবি আঁকার খাতা সাদা হয় আর লেখার খাতা দাগ টানা হয়।  
৬) ছবি আঁকতে সাধারণত কোন কোন জিনিস লাগে?  
উ:- ছবি আঁকতে সাধারণত রং, তুলি, আঁকার খাতা লাগে। 
৭ ) 'হিজিবিজি' শব্দের অর্থ কি?  
উ :- 'হিজিবিজি' শব্দের অর্থ হলো জটিল।  
৮) কবিতায় শিশুটির আঁকার বিষয় কি?  
উ:- কবিতায় শিশুটির আঁকার বিষয় হল নানারকম। 
৯) হাতির ডাক কে কি বলে?  
উ:- বৃহন।   
১০) ঘোড়ার ডাক কে কি বলে?  
উ :- হেস্রা।  
১১) পাখির ডাকে কি বলে? 
উ:- পাখির ডাকে কুজন বলে। 
১২) 'সারাদিন' কবিতার অনুসরণে কবির সারাদিন কিভাবে কাটে তা লেখ? 
 উ:- কবি সুনির্মল চক্রবর্তীর একটা ছোট খাতা ছবি আঁকার খাতা আছে।কবি সারাদিন ওই খাতায় ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। তার মন ঐ খাতাতেই আটকে থাকে। সারাদিন ধরে কবির মনে যে হিজিবিজি ভাবনা আসে কবি সেগুলোই ছবি করে খাতায় এঁকে রাখেন। এত আঁকেন তাও কবির কিছুতেই সাধ মেটে না।। আসলে ওই খাতাটাই কবির সারাদিনের সঙ্গী। 



অধ্যায় : ফুল


১) 'ফুল' গল্পটি কার লেখা?  

উ:- সুখলতা রাও- এর লেখা। 

২) 'পরী' শব্দের অর্থ কি? 

উ:- 'পরী'  শব্দের অল্প অর্থ হলো কল্পনার জীব যারা জাদু জানে, এরা দেখতে মানুষের মতো হলেও এদের দুটি ডানা থাকে।  
৩) কোন সময় পৃথিবীতে ফুল ছিল না বলে লেখক আমাদের জানিয়েছেন?  
উ:- অনেক অনেক কাল আগে যখন মানুষ জন্মায়নি তখন পৃথিবীতে ফুল ছিল না।  
৪) যখন ফুলেরা এই পৃথিবীতে ছিল না তখন পৃথিবীর অবস্থা কেমন ছিল?  
উ:- যখন পৃথিবীতে ফুল ছিল না তখন মাটির উপর ছিল কেবল বড় বড় ঘাস আর পাতা গাছ। আলো এসে ফুলেদের খুঁজে খুঁজে যেত।  
৫) ফুল পরীরা কেমন পোশাক পরে আর তারা কি খায়?  
উ:- ফুল পরীরা ফুলের পাপড়ির পোশাক পরে এবং তারা ফুলের মধু খায়।  
৬) ফুল পরীদের নিয়ে আসা বীজ থেকে যে গাছ হয়েছিল তাতে কি কি রঙের ফুল ফুটেছিল?  
উ:- ফুল পরীদের নিয়ে আসা বীজ থেকে যে গাছ হয়েছিল তাতে সাদা, নীল, লাল, বেগুনি রঙের ফুল ফুটেছিল।  
৭) গভীর জঙ্গলে সারারাত ফুল পরীরা কি করে?  
উ:- সারারাত ফুল বনে হাত ধরাধরি করে নাচে।  
৮) গ্রীষ্মকালের দুটি ফুলের নাম লেখ।  
উ:- জুঁই ফুল আর বেল ফুল।  
৯) বর্ষাকালের দুটি ফুলের নাম লেখ।  
উ:- কদম ফুল আর বকুল ফুল।  
১০) শরৎকালের দুটি ফুলের নাম লেখ।  
উ:- কাশফুল, শিউলি ফুল।  
১১) শীতকালের দুটি ফুলের নাম লেখ।  
উ:- গাঁদা ফুল আর ডালিয়া ফুল।  
১২) বসন্তকালের দুটি ফুলের নাম লেখ।  
উ:- কৃষ্ণচূড়া আর পলাশ। 
১৩) সুখলতা রাও কে ছিলেন ?
উ:- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জ্যেষ্ঠা কন্যা।  
১৪) মৌমাছির আরেক নাম কি?  
উ:- মধুমক্ষী।


অধ্যায় : আজ ধানের ক্ষেতে


১) 'আজ ধানের ক্ষেতে' গানটি কার লেখা?  
উ:- 'আজ ধানের ক্ষেতে' খুব গানটির কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।  
২) ছায়া কোথায় লুকোচুরি খেলে?  
উ:- ধানের ক্ষেতে।  
৩) নীল আকাশে কিসের ভেলা ভাসছে?  
উ:- সাদা মেঘের ভেলা ভাসছে।  
৪) কে মধু খেতে ভুলে গেছে?  
উ:- ভ্রমর মধু খেতে ভুলে গেছে।  
৫) কোথায় চখাচখির মেলা বসেছে?  
উ:- নদীর চরে।  
৬) কে ঘরে যাবে না আজ?  
উ:- কবি আজ ঘরে যাবে না।  
৭) কি রকম জলে ফ্যানার রশ্মি দেখা যাচ্ছে?  
উ:- জোয়ারের জলে। 
৮) কবি কি বাজিয়ে দিন কাটাবে?  
উ:- বাঁশি বাজিয়ে।  
৯) এই গানটিতে বাংলার কোন জায়গার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে?  
উ:- গ্রাম্য পরিবেশের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।  


অধ্যায় : সোনা

১) সোনা কে?  
উ:- সোনা হল চাষির মেয়ে। 
 ২) 'সোনা' গল্পটি কার লেখা?  
উ:- গৌরী ধর্মপালের লেখা।  
৩) সোনাকে তার বাবা মা কেন বাড়িতে বেড়া দিয়েছিল?  
উ:- সোনা হামাগুড়ি দিয়ে যাতে বাইরে বেরিয়ে না যায় তাই তার মা বাবা বেড়া দিয়ে রেখেছিলেন। 
৪) নদী মা কিভাবে সোনার সারা গায়ে গহনা পরিয়ে দিয়েছিলেন?  
উ:- নদীতে স্নান করে উঠে আসার পর সোনার সারা গায়ে বালির মতো সোনা লাগানো দেখেছিল তার বাবা মা। 
 ৫) চোরটি সোনাকে কখন চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল? 
উ :- সোনার বাবা ক্ষেতে গিয়েছিল এবং সোনার মা দুধ জ্বাল দিচ্ছিল এমন একদিন যখন সোনা উঠানে একা খেলছিল তখন চোর তাকে চুরি করে নিয়ে পালায়। 
৬) কেন গ্রামটির নাম সোনারগাঁ হল? 
উ:- সরকারের লোকেরা গ্রামে সোনা খুঁজতে আসার পর থেকে গ্রামের নাম হল সোনারগাঁ। 
৭) সরকারের লোকেরা কি কাজ করবে বলে সোনাদের গ্রামে এসেছিল?  
উ:- সরকারের লোকেরা নদী থেকে সোনা তোলার জন্য সোনাদের গ্রামে এসেছিল। 
৮) কে সোনার নাম রেখেছিল নদীমাতৃকা? এই নামের অর্থ কি? 
উ:- পাঠশালার সংস্কৃত দিদিমণি সোনার নাম রেখেছিল নদীমাতৃকা। নদীমাতৃকার অর্থ হল নদী যার মায়ের মত।  
৯) কেউ নদীর জল নোংরা করলে সোনা কি করত?  
উ:- সোনা বাঘিনীর মত ছুটে আসত।  
১০) নদী আমাদের কি কি উপকার করে?  
উ:- নদী আমাদের নানাভাবে উপকার করে। যেমন নদীর জল পান করি, নদীর জল চাষের কাজে লাগে, নদীতে মাছ চাষ করা হয়, নদীর জল শিল্পক্ষেত্রে কাজে লাগে, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে নদীর জল লাগে। এছাড়া পূজার কাজের নদীর পবিত্র জল ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে নদীর জল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।  
১১) ভারতবর্ষ নদীমাতৃক দেশ। এখানে অনেক নদী আছে। নদীকে মায়ের মতো বলা হয় কেন?  
উ:- নদী মাটির উপর সভ্যতা গড়ে তোলে। মায়ের কোলে যেমন শিশুরা বেড়ে ওঠে তেমনি নদীর তীরে সভ্যতা গড়ে ওঠে। নদী নানাভাবে মানুষকে সাহায্য করে। একটি সমাজের বা সভ্যতা সমৃদ্ধি ঘটাতে নদীর ভূমিকা অপরিসীম। তাই নদীকে মায়ের মত বলা হয়।  
১২) তোমার জানা তিনটি নদীর নাম লেখ।  
উ:- গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র আর ভাগীরথী।   
১৩) 'হিরণ্যবক্ষ' শব্দের অর্থ কি ?
উ :- যার বুকে সোনা থাকে।  
১৪) কারা চোরকে ধরে সোনাকে উদ্ধার করেছিল?  
উ:- সরকারের লোকেরা।  
১৫) সোনা কেন কারখানা বন্ধ করেছিল?  
উ:-কারখানার জলে নদীকে দূষিত করছিল তাই সোনা কারখানা বন্ধ করেছিল।


অধ্যায় : নদী

১) 'নদী' কবিতাটি কার লেখা? 
উ:- 'নদী' কবিতাটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। 
২) নদীর কথা বললে প্রথমে তোমার কোন নদীর নাম মনে আছে?  
উ:- গঙ্গা নদী।  
৩) নদী থেকে আমরা কোন কোন জিনিস পাই? 
 উ:- নদী থেকে আমরা জল, বালি, মাছ, কাকড়া, কচ্ছপ ইত্যাদি পাই । 
৪) নদীতে চলে এমন কয়েকটি যানবাহনের নাম লেখ।  
উ:- নৌকা, জাহাজ, লঞ্চ ইত্যাদি।  
৫) নদীতে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি মাছের নাম লেখ।  
উ:- ইলিশ, চিংড়ি, বেলে ইত্যাদি।  
৬) নদীর ওপর সেতু তৈরি করা হয় কেন?  
উ:- যাতে যানবাহন নিয়ে বা এমনিতে খুব সহজে নদী পেরোনো সম্ভব হয় তার জন্য নদীর উপর সেতু বানানো হয়। 
৭) কবিতায় কবির মনের ইচ্ছাটি কে? 
 উ:- কবির ইচ্ছে যদি নদী বাঁকা পথে না গিয়ে সোজা পথে যেত তাহলে কবিও সারা জীবন নদীর সঙ্গে যেতেন।  
৮) নদী কিভাবে তার চলার পথে এগিয়ে চলে?  
উ:- নদী কখনোই সোজা পথে এগোয় না সে চিরকালই তার নিজের মতো পথ করে নিজে একে বেঁকে এগিয়ে চলে। 
 ৯) কবি নদীর সাথে যেতে পারছেন না কেন?  
উ:- কবিকে দশ জনে বাঁকা পথে যেতে বারণ করছে।




অধ্যায় : নদীর তীরে একা

১) 'নদীর তীরে একা' গল্পটি কার লেখা?  
উ:- জীবন সর্দার -এর লেখা।  
২) প্রকৃতি বলতে কী বোঝো? 
উ:- আমাদের চারপাশের গাছপালা, পশুপাখি, মানুষজন, নদী-নালা, খাল, বিল এই সমস্ত কে আমাদের পরিবেশ বলা হয়।  
৩) লেখকের প্রিয় ঘাটটির নাম কি?  
উ:- খাদিনান।  
৪) লেখকের প্রিয় তিনটি নদী কি কি?  
উ:- দামোদর, রূপনারায়ণ এবং ইছামতি।  
৫) লেখক কার নৌকায় উঠলেন?  
উ :- মনুর নৌকায়। 
 ৬) জোয়ার ভাটা বলতে কী বোঝো?  
উ:- নদীর জল চাঁদের অবস্থানের জন্য বেড়ে গেলে হয় জোয়ারে আর কমে গেলে হয় ভাঁটা।  
৭) লেখক কেন দামোদরের তীরে এসেছেন? 
উ:- লেখক ভরা বর্ষার নদী দেখার জন্য দামোদরের তীরে এসেছেন। 
৮) লেখক কোন পথে এবং কিভাবে যেতে ভালোবাসেন?  
উ:- জলের  কিনারা ধরে এবং হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।  
৯) গল্পে কোন কোন ঋতুর উল্লেখ রয়েছে  
উ :- বর্ষা, শরৎ, শীত এবং বসন্ত ঋতুর উল্লেখ রয়েছে।  
১০
) গল্পে নদীর চড়ায় কোন কোন পাখির উল্লেখ আছে?  

উ :- কাদাখোঁচা, সরাল, চখা এবং বড় জাতের হাত মেছো বকের উল্লেখ আছে।



অধ্যায় : নৌকাযাত্রা

১) 'নৌকা যাত্রা' কবিতাটি কার লেখা?  
উ:- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। 
২) 'নৌকা যাত্রা' কবিতাটি কবির কোন বই থেকে নেওয়া হয়েছে?  
উ:- 'শিশু' বই থেকে। 
৩) নৌকাটি কোথায় বাধা আছে?  
উ:- নৌকাটি রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে।  
৪) নৌকাটিতে কি রয়েছে?  
উ:- পাট রয়েছে।  
৫) কবিতার শিশুটি ওই নৌকা পেলে কটি পাল ও দাঁড় জুড়ে নেবে?  
উ:- কবিতার শিশুটি ওই নৌকা পেলে দুটি পাল এবং ১০০ টি দাঁড় জুড়ে নেবে। 
৬) পাল ও দাঁড় নৌকায় কি কি কাজে লাগে?  
উ:- পাল ও দাঁড় নৌকা চালাতে ও গতি বাড়াতে কাজে লাগে।  
৭) হাট বলতে কী বোঝো?  
উ:- গ্রামে গঞ্জে যেখানে নির্দিষ্ট দিনে জিনিস কেনাবেচা হয় তাকে হাট বলে। 
৮) শিশুটি কার নৌকা পেতে চায়?  
উ:- মধু মাঝির নৌকা পেতে চায়।  
৯) সেই নৌকা করে কোথায় যাবে?  
উ:- সেন নৌকা করে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে যাবে।  
১০) সে সঙ্গে কাকে কাকে নেবে?  
উ:- সে সঙ্গে আশু আর শ্যামকে নেবে।  
১১) সে তার মাকে কাঁদতে বারণ করছে কেন?  
উ:- কারণ সে চোদ্দ বছর বনবাসে যাচ্ছে না।  
১২) রাম কে বনবাসে যেতে হয়েছিল কেন?  
উ:- বাবার আদেশ পালনের জন্য রামকে বনবাসে যেতে হয়েছিল।  
১৩) রামচন্দ্রের কাহিনী কোন বই পড়লে জানা যায়?  
উ:- রামায়ন বই পড়লে জানা যায়।  
১৪) রাজপুত্র সোনা মানিকের কথা কোন ধরনের বইয়ে থাকে?  
উ:- রূপকথার বইতে থাকে।  
১৫) শিশুটি কি কি নিয়ে যাবে?  
উ:- শিশুটি নৌকা ভরা সোনা মানিক নিয়ে যাবে।  
১৬) সে কখন নৌকা ছেড়ে দেবে?  
উ:- সে ভোরবেলা নৌকা ছেড়ে দেবে।  
১৭) দুপুরবেলা তার মা কোথায় থাকবেন?  
উ:- দুপুরবেলা তার মা ঘাটে থাকবেন।  
১৮) তখন সে কোথায় থাকবে?  
উ:- তখন সে নতুন রাজার দেশে থাকবে।  
১৯) কোন কোন জায়গা পেরিয়ে শিশুটি যাবে?  
উ:- শিশুটির তিরপুর্নির ঘাট আর তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে যাবে।।  
২০) সে কখন ফিরে আসবে?  
উ:- সে সন্ধ্যে পার করে ফিরে আসবে।  
২১) নতুন জায়গা ঘুরে আসার গল্প মাকে কিভাবে শোনাবে সে?  
উ:- মায়ের কোলে বসে সে মাকে গল্প শোনাবে।




অধ্যায় : ঢেউয়ের তালে তালে 


১) 'ঢেউয়ের তালে তালে' গল্পটি কার লেখা?

উ:- পিনাকী রঞ্জন চট্টোপাধ্যায় লেখা।

২) অভিযানে লেখকের সঙ্গির নাম কি?

উ:- অ্যালবার্ট জর্জ ডিউক।

৩) অভিযানের নৌকোটির নাম কি?

উ:- কনৌজি আংরে।

৪) নৌকাটি কোন মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল?

উ:- নৌকোটি ভারত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।

৫) লেখকের অভিযানের গন্তব্যস্থল কোথায় ছিল?

উ:- আন্দামান।

৬) কেন ডিউক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে ছিল কেন?

উ:- ডিউক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিল কারণ লেখক যখন কচ্ছপটাকে ব্যাটারি ছুড়ে মেরেছিল তখন সে আদর করেছে ভেবে এগিয়ে এসেছিল।

৭) দুপুর বেলা সঙ্গে কার লড়াই চলছিল?

উ:- দুপুরবেলা মাছের সাথে ডিউক এবং লেখকের লড়াই চলছিল।

৮) নৌকোর চার ধারে যে চিড়িয়াখানা তৈরি হয়েছিল তাতে কারা ছিল সবচেয়ে দর্শনীয় বস্তু?

উ:- নানা রঙের মাছেরা।

৯) অভিযান কাকে বলে?

উ:- অচেনা বা দুর্গম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রোমাঞ্চকর যাত্রা কে অভিযান বলে।

১০) পাঁচটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম লেখ।

উ:- হাঙ্গর, নীল তিমি, শুশুক, জেলিফিশ, অক্টোপাস।

১১) কে গলা ছেড়ে গান গেয়েছিল?

উ:- লেখক।

১২) পিঁপড়েদের নৌকায় আসতে হলে কত মাইল সাঁতরাতে হবে?

উ:- ২০০ মাইল।

১৩) রান্না করা কাছে অসহ্য ব্যাপার?

উ:- লেখকের কাছে।

১৪) কি খুঁজতে লেখকের আধঘন্টা লেগেছিল?

উ:- একটা জমানো দুধের ক্যান খুঁজতে লেখক এর আধঘন্টা সময় লেগেছিল।

১৫) হাঙর তাড়াতে লেখকের অস্ত্র কি ছিল?

উ:- হাঙর তাড়ানোর কালি।

১৬) গল্পে উল্লিখিত তিনটি খাদ্য বস্তুর নাম লেখ।

উ:- চা, দুধ এবং রসগোল্লা।

১৭) উত্তেজনা শব্দের অর্থ কি?

উ:- অস্থিরতা।



অধ্যায় : পর্যটন

১) 'পর্যটন' কবিতাটি কার লেখা?  
উ:- 'পর্যটন' কবিতাটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা।  
২) পর্যটন শব্দটির অর্থ কি?  
উ:- ঘুরে বেড়ানো।  
৩) বাদকশান কোথায় অবস্থিত?  
উ:- উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ পূর্ব তাজাকিস্তানের অংশ জুড়ে অবস্থিত।  
৪) বাদকশান কিসের জন্য বিখ্যাত? 
 উ:- সংগীতের জন্য বিখ্যাত।  
৫) মোম্বাসা কোথায় অবস্থিত? 
 উ:- ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত আফ্রিকা মহাদেশের কেনিয়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর শহর।  
৬) সান্টাফে কোথাকার শহর?
উ:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো প্রদেশের।  
৭) সান্টাফে শব্দের অর্থ কি?  
উ:- পবিত্র বিশ্বাস।  
৮) শ্যামবাজার কোথায় অবস্থিত?  
উ:- উত্তর কলকাতায়। 
৯) শ্যামবাজার এর আগে কি নাম ছিল?  
উ:- সুতানুটি।  
১০) পর্যটন করেন যিনি তাকে কি বলা হয়?  
উ:- পর্যটক বলা হয়।  
১১) ভ্রমণ শব্দটির অর্থ লেখ।  
উ:- ঘুরে বেড়ানো।  
১২) কেষ্ট বিষ্টু মহেশ্বর নামগুলো কবিতায় কি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?  
উ:- পর্যটকদের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।  
১৩) কবিতায় লোকটির মনে বেড়ানোর শখ জাগলো কেন?  
উ:- লোকটির পরিচিত কেষ্ট বিষ্টু মহেশ্বর বাবু পর্যটনে বেরিয়েছেন তাদেরকে লোকটিরও বেড়ানোর শখ জাগলো।  
১৪) যারা পর্যটনে বেরিয়েছেন তাদের হাব সাজ পোশাক চলাফেরা কিভাবে কবিতাটিতে ধরা পড়েছে?  
উ:- যারা পর্যটনে বেড়িয়েছেন তাদের মধ্যে কেষ্ট বাবু মাথায় মস্ত পাগড়ী পড়েছেন।বিস্টু বাবু সিংহের মতো দ্রুত পায়ে পর্যটনে যাচ্ছেন আবার মহেশ দাস ভরদুপুরে ধুলো উড়িয়ে পর্যটনে চলেছেন।  
১৫) সাধারণত মানুষজন কখন বেড়াতে বেরোয? 
 উ:- সাধারণত মানুষের ছুটিতে বেড়াতে যান। যেমন পূজার ছুটি, গরমের ছুটি, শীতের ছুটি ইত্যাদি।  
১৬) মানুষের বেড়ানোর ইচ্ছা হয় কেন?  
উ:- অজানা, অদেখা জিনিস তথা প্রদেশ দেখতে মানুষের ইচ্ছে হয়। এছাড়া প্রতিদিনের একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি পেতেও মানুষের বেড়ানোর ইচ্ছে হয়।



অধ্যায় : গাছেরা কেন চলাফেরা করে না

১) উপকারী শব্দের অর্থ কি?
উ:- উপকারী শব্দের অর্থ হলো যে উপকার করে।
২) দূর দূরান্তের শব্দের অর্থ কি?
উ:- অনেক দূরে।
৩) কুৎসিত শব্দের অর্থ কি?
উ:- বিশ্রী।
৪) কোন সময়ের কথা গল্পটিতে বলা হয়েছে?
উ:- অনেক বছর আগে যখন গাছপালারা চলাফেরা করতো তখনকার কথা গল্পে বলা হয়েছে।
৫) এক সময় গাছরা কিভাবে চলাফেরা করতো?
উ:- গাছেরা তাদের শেকর বাকর মাটির নিচে চালাচালি করে চলাফেরা করতো।
৬) তখন পৃথিবী কেমন ছিল?
উ:- খুব সুন্দর এবং সবুজ।
৭) মানুষ আর গাছের সম্পর্ক তখন কেমন ছিল?
উ:- মানুষ এবং গাছ তখন একে অপরকে উপকারী সাথী বলে মনে করত। তারা ভালো বন্ধু ছিল।
৮) মানুষ কিভাবে তখন যাতায়াত করতো?
উ:- মানুষ তখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতো, বুড়ো লোকদের গন্তব্য গাছেরাই পৌঁছে দিত।
৯) গাছেরা তখন কোন দায়িত্ব পালন করতো?
উ:- গাছেরা তখন মানুষের ভারি ভারি মালপত্র বাক্স প্যাটরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিত।
১০) মানুষ গাছের শাখা প্রশাখায় কি কি ঝুলিয়ে রাখত?
উ:- পোশাক- আশাক, বাক্স প্যাটরা, মালপত্র ঝুলিয়ে রাখত।
১১) গাছেরা কিভাবে বুড়ো লোকদের উপকারে আসতো?
উ:- গাছের ডালে বুড়ো লোকেরা চড়ে বসলে গাছেরা তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেত।
১২) জঙ্গল থেকে ফেরার পথে একদল লোক কি করল?
উ:- জঙ্গল থেকে ফেরার পথে একদল লোক তাদের ভারী মালপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
১৩) ডাল গুলি কাত হয়ে নিচে ঝুকে পড়লো কেন?
উ:- ডালগুলো ভারী মালপত্রের ভার সহ্য করতে না পেরে ঝুঁকে পড়েছিল।
১৪) ডালগুলো ঝুঁকে পড়তে দেখে মানুষরা কি করল?
উ:- ডালগুলো ঝুঁকে পড়তে দেখে মানুষেরা কুৎসিত হাসাহাসি করতে থাকে। তারা আনন্দে হাততালি দিতে থাকে। তারা উপহাস করেছিল।
১৫) গাছেরা অপমানিত বোধ করলো কেন?
উ:- মালপত্রের ভারে গাছেদের করুন অবস্থা দেখে মানুষেরা কুৎসিতভাবে হাততালি দিয়ে আনন্দ করেছিল। সেই উপহাস সহ্য করতে পারেনি তারা। অপমানিত বোধ করেছিল।
১৬) তখন তারা কি ঠিক করল?
উ:- মানুষের এই ব্যবহার দেখে গাছেরা ঠিক করল তারা চলাফেরা করবে না।
১৭) তারপর থেকে কি হয়?
উ:- তারপর থেকে মানুষদের নিজেদের মালপত্র নিজেদের বইতে হয়।
১৮) গাছেরা আজও মানুষদের কি কি উপকার করে?
উ:- গাছেরা মানুষদের অক্সিজেন দেয়। ফুল, ফল দেয়। মানুষকে রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচায়। নদীর ভাঙন রোধ করে। ওষুধ তৈরি করতে সাহায্য করে। পাখিদের বাসা বাঁধতে দেয় নিজেদের ডালে। এভাবে গাছ আজও মানুষের উপকারের সাহায্য করে।
১৯) একবার একজন লোক কোথায় গিয়েছিল?
উ:- জঙ্গলে গিয়েছিল।
২০) নদীর ভাঙন থেকে আমাদেরকে কে রক্ষা করে?
উ:- গাছ।
২১) গাছেরা আগেকার দিনে কিভাবে মানুষকে উপকার করত এবং এখন কিভাবে উপকার করে তার মধ্যে পার্থক্য দেখাও ।
উ:- গাছেরা আগেকার দিনে মানুষের মালপত্র বইতো। তারা গ্রামের মানুষের মালপত্র পৌঁছে দিত। এছাড়া বুড়ো লোকেদের নিজেদের ডালে বসিয়ে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কাজও করত।
কিন্তু এখনকার দিনে গাছরা চলাফেরা করে না। তার বদলে তারা ফল, ফুল দেয়। মানুষকে অক্সিজেন দেয়। নদীর ভাঙনের হাত থেকে আটকায়। পাখিদের আশ্রয় দেয় ইত্যাদি।




অধ্যায় : গাছ বসাবো

১) 'গাছ বসাবো' কবিতাটি কার লেখা?
উ:- কবি কার্তিক ঘোষের লেখা।
২) আগে চারিদিকে কি ছিল?
উ:- আগে চারিদিকে শুধু জল ছিল।
৩) তখন প্রতিদিন কি দুর্যোগ হতো?
উ:- ঝড়, বৃষ্টি হত।
৪) পৃথিবীতে প্রথম গাছেরা জন্মালো কি রকম ভাবে?
উ:- প্রথম শ্যাওলা রূপে জন্মেছিল।
৫) কার কথা পড়ে গর্ব হবে?
উ:- গাছেদের কথা পড়ে।
৬) পৃথিবীতে কিভাবে গাছেরা এলো?
উ:- প্রাচীনকালে পৃথিবী সম্পূর্ণ জলমগ্ন ছিল। তখন ঝড় বৃষ্টির মতো দুর্যোগ রোজগারও দিনের অঙ্গ ছিল। সেই সময় হঠাৎ করে প্রথম গাছের জন্ম হলো।
৭) মানুষ কেন একশোটারও বেশি গাছ বসাবে?
উ:- গাছেরা নানা ভাবে আমাদের উপকার করে। তারা কাঠ, ফল, ফুল ইত্যাদি দিয়ে আমাদের সাহায্য করে। তারা ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন প্রদান করে। এছাড়া আরো নানাভাবে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই মানুষেরা পৃথিবীতে গাছ বসাবে।





অধ্যায় : জুঁই ফুলের রুমাল


১) লিপিকে দেখলে কারা খুশি হয়?
উ:- গাছেরা এবং পাখিরা লিপিকে দেখলে খুশি হয়।
২) 'জুঁই ফুলের রুমাল' গল্পটি কার লেখা?
উ:- কার্তিক ঘোষের লেখা।
৩) খুশি হয়ে তারা কি করে?
উ:- গাছেরা পাতায় পাতায় হাততালি দিয়ে, ডাল দুলিয়ে, ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করে এবং পাখিরা শব্দ করে আনন্দ করে।
৪) লিপিদের বাড়ি কোথায়?
উ:- লিপিদের বাড়ি এগরায়।
৫) বাড়ির পাশের বাগানটা কাদের?
উ:- মল্লিক বাবুদের।
৬) লিপি কখন বাগানে যায়?
উ:- স্কুল ছুটি হলেই লিপি বাগানে যায়।
৭) তার সঙ্গে কে কে থাকে?
উ:- তার সঙ্গে কখনো টুসি বা দোলন বা কখনো সুধা দিদি বা বিট্টু থাকে।
৮) চারা গাছ কোথায় খুশিতে হিল হিলিয়ে ওঠে?
উ:- যেখানে ভালো জল, হাওয়া, আলো সেখানেই চারা গাছ খুশিতে হিল হিলিয়ে ওঠে।
৯) লিপি কোথায় কোথায় লুকিয়ে গাছ বসায়?
উ:- লিপি কারো উঠোনে, পুকুরের ধারে, রাস্তার পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে গাছ বসায়।
১০) মাঝিপাড়ার ছাগল তিনটে বিদঘুটে কেন?
উ:- এরা গাছের চারা দেখলেই মুড়িয়ে দেয়।
১১) বাগানের খরগোশ দুটো কেমন?
উ:- খুব ভালো কিন্তু ভীতু।
১২) ড্রয়িং খাতায় লিপি কি সব ছবি এঁকেছে?
উ:- অনেক রকম রংবেরঙের গাছের ছবি এঁকেছে।
১৩) কাঠবেড়ালি বউ কোথা থেকে কি শুনেছিল?
উ:- কাঠবেড়ালি বউ শানুদের বাড়ি থেকে শুনেছিল যে মল্লিকদের বাগানে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি উঠবে সব শহর হয়ে যাবে।।
১৪) শানুর বাবা কি বলেছিলেন?
উ:- শানুর বাবা বলেছিলেন মল্লিক বাবুদের বাগানে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি উঠবে, গাছপালা পুকুর আর কিছু থাকবে না সব শহর হয়ে যাবে।
১৫) কাদের দেখে পাখিরা চেঁচিয়ে উঠলো?
উ:- শহরের মানুষদের দেখে।
১৬) লিপি কাদের কানে কানে কথা বলেছিল?
উ:- সুধা দিদি, লুসি, টুপাই আর টুসি কে কানে কানে কথা বলেছিল।
১৭) কাঠুরেরা এলে লিপিরা কি করলো?
উ:- কাঠুরেরা এলে লিপিরা সবাই একটা একটা করে গাছ জড়িয়ে ধরলো।
১৮) কে পুলিশে খবর দিলো?
উ:- মল্লিক বাবুর বড় ছেলে পুলিশে খবর দিল।
১৯) কে লিপিদের উপহার দিতে চাইল?
উ:- প্রথমে পুলিশ এবং তারপর টিয়া বাবুই লিপিদের উপহার দিতে চাইলো।
২০) বাবুই কি দিয়ে কি উপহার দিয়েছিল?
উ:- বাবুই গিন্নি প্রত্যেককে একটা করে জুঁইফুলের রুমাল বানিয়ে দিয়েছিল।
২১) জুঁই ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?
উ:- শীতকালে।
২২) গল্পে বাচ্চাদের দলের প্রধান কে?
উ:- লিপি।
২৩) কাঠবেড়ালিরা কোন গাছে থাকে?
উ:- জামরুল গাছে।
২৪) মল্লিকদের বাগানে কোন কোন গাছে ভর্তি?
উ:- মল্লিকদের বাগানে শাল, সেগুন, আকাশমনি, আম, জামরুল, কদমচাঁপা, কৃষ্ণচূড়া, বকুল গাছে ভর্তি।
২৫) লিপি তার বন্ধুদের কি দেয়?
উ:- লিপি কাউকে দেয় কৃষ্ণচূড়া কাউকে দেয় বকুল গাছের চারা।
২৬) বিট্টুকে দেখে কারা ছুটে বেলায়?
উ:- খরগোশগুলো।




অধ্যায় : সাথি

১) 'সাথি ' গল্পটি কার লেখা?  

উ:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।  

২) তালগাছ কোথায় একলা বাড়ল? 

উ:- তেপান্তরের মাঠে । 

৩) ঘন নীল ছায়ার মত কাদের দেখা যায়?  

উ:- বনের যেসব লতা পাতা গলাগলি করে আছে তাদের দেখা যায়।  

৪) মাঠের চেয়ে বড় কে?  

উ:- আকাশ।  

৫) হাওয়ার সঙ্গে কে আছে?  

উ:- ফুলের গন্ধ।  

৬) ঝড়ের সঙ্গে কে কে আছে?  

উ:- আঁধি আর বৃষ্টি।  

৭) শরতের মেঘের সাথী কে?  

উ:- বলাকা।  

৮) তালগাছ কেন বৃথা আঁকু পাকু করে?  

উ:- তালগাছ সবার সাথে চলতে চেয়ে আঁকু পাকু করে।  

৯) তাল গাছের কাছে কারা যাওয়া আসা করতে লাগলো?  

উ:- দুটি বাবুই পাখি।  

১০) বাবুই পাখিরা কোথায় বাঁসা বাধলো?  

উ:- তাল গাছের ডালে।  

১১) তাল গাছ চুপ করে ভাবে কেন?  

উ:- বাবুই পাখিরা চলে যাওয়াতে তাল গাছ আবার একা হয়ে পড়েছিল তাই চুপ করে ভাবে।



অধ্যায় : একা একা থাকতে নেই


১) পরিদের বাড়িতে থাকার সুবিধাজনক মনে হয়েছিল কেন? উ:- বাড়িতে থাকলে রোদ, জল, ঠান্ডায় আর তাদের কষ্ট হবে না তাই। ২) বাড়ি তৈরির জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলো কেন? উ:- তারা দু দল দুটি আলাদা আলাদা জায়গায় বাড়ি করতে চাইছিল। ৩) তারপর তারা কি কি করলো? উ:- তারপর একদল জঙ্গলে ও দুজন ফাঁকা মাঠে গাছের উপর বাড়ি তৈরি করল। ৪) বৃষ্টিতে পরিদের মাঠের গাছ বাড়ি গুলোর কি অবস্থা হল? উ:- বৃষ্টিতে পরিদের মাঠের বাড়ি গাছবাড়ি গুলো ভেঙে গেল। ৫) ঘন বনে ঝড় ঝাপটা তেমন সুবিধে করতে পারল না কেন? উ:- ঘন বনে ফাঁকা জায়গা কম হওয়ায় ঝড়ঝাপটা তেমন সুবিধা করতে পারল না। ৬) বনের পরিদের বাড়ি কিভাবে বেঁচে গেল? উ:- ঘন বনে ঝড় সুবিধে করতে না পারায় বনের পরিদের বাড়ি বেঁচে গেল । ৭) একা একা থাকার বিপদ কোথায়? উ:- একা একা থাকলে শক্তি কমে যায়। ৮) পরিরা কোথায় থাকতো? উ:- পরিরা খোলা আকাশের নিচে গাছের ডালে ডালে থাকতো। ৯) তাদের কি কারনে কষ্ট হতো? উ:- তাদের দেহ রোদে পুড়ে যেত। বর্ষায় ভিজে যেত। শীতকালে কাঁপতে থাকতো বলে তাদের কষ্ট হতো। ১০) কষ্ট থেকে রেহাই পেতে তারা কি ভাবলো? উ:- এই কষ্ট থেকে রেহাই পেতে তারা ঠিক করল যে তারা বাড়ি তৈরি করবে। ১১) পরিরা কোথায় যেতে চাইলো? উ:- গভীর জঙ্গলে বাড়ি করে চলে যেতে চাইলো। ১২) দুজন পরি কি বলল? উ:- দুজন পরি বলল তারা গভীর বনে যাবে না মাঠে বেশ ফাঁকা ফাঁকা গাছ আছে সেখানে বাড়ি তৈরি করবে । ১৩) পরিরা কোথায় কোথায় তাদের বাড়ি তৈরি করেছিল? উ:- পরিরা গভীর জঙ্গলে গাছের গুঁড়ি থেকে অল্প উপরে এবং ফাঁকা মাঠে গাছের উপর বাড়ি তৈরি করেছিল। ১৪) সেখানে তাদের কিভাবে দিন কাটছিল? উ:- সেখানে তাদের খুব আনন্দে সুখে দিন কাটছিল। ১৫) "সব দিন এক সময় যায় না"- বলতে কি বোঝানো হয়েছে? উ:- কথাটির দ্বারা বোঝানো হয়েছে আনন্দের সময় সর্বদা থাকে না মাঝে মাঝে দুঃখ এসে উপস্থিত হয়। ১৬) বর্ষার রাতে কি ঘটলো? উ:- বর্ষার রাতে প্রচন্ড বেগে হাওয়া চলল সেই হাওয়ায় মাঠে তৈরি পরিদের গাছবাড়ি ভেঙে গেল। ১৭) ঘন বনে আর মাঠে - দুই জায়গায় থাকা পরিদের কি দশা হল? উ:- ঘন বনে থাকা পরিদের বাড়ি বেঁচে গেল আর মাঠে থাকা পপরিদের বাড়ি ভেঙে গেল। ১৮) শেষে বনের পরিরা কি বলল? উ:- শেষে ঘন বনের পরিরা বলল যে সবার একসাথে বনের মধ্যে থাকা উচিত। একা একা থাকায় বিপদ বাড়ে। একসাথে থাকলে শক্তি বাড়ে।


অধ্যায় : আরাম


১) ‘আরাম’ কবিতাটি কার লেখা?  
উ:- কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা।  
২) কূজন কি? 
উ:- পাখির ডাককে কূজন বলে।  
৩) কিভাবে ঘুম ভাঙলো?  
উ:- পাখির কূজনে।  
৪) ঘুম ভেঙে কি দেখা গেল?  
উ:- বাবা-মা দুপাশে আছে।  
৫) জি জি আর পুতুলেরা কি করছে?  
উ:- ঘুমোচ্ছে।  
৬) কি আরাম কখন এমন মনে হল?  
উ:- যখন সব পাওয়া গেল।  
৭) সবকিছু ঠিকঠাক মনে হলো কখন?  
উ:- ঘুম থেকে উঠে।  
৮) কবিতাটিতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?  
উ:- ভোরবেলার কথা বলা হয়েছে।  
৯) পুতুলেরা কোন ঘরে আছে?  
উ:- এই ঘরে।  
১০) এক দিকে কি শোনা যায়? 
উ:- একদিকে শোনা যায় আজান। 
১১) অন্য দিকে কি শোনা যায় ?
উ :- সিয়ারাম। 




অধ্যায় : হিংসুটি

১) 'হিংসুটি' গল্পটি কার লেখা?  

উ:- সুকুমার রায়ের লেখা।  

২) সুকুমার রায়ের বাবার নাম কি?  

উ:- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। 

৩) সুকুমার রায়ের লেখা কয়েকটি বইয়ের নাম লেখ।  

উ:- 'আবোল তাবোল', 'হ য ব র ল', 'পাগলা দাশু' ইত্যাদি।  

৪) হিংসুটির নাম বলা মুশকিল কেন?  

উ:- তাহলে সেই নামে শান্ত মেয়ে ভালো পাঠিকা রেগে যেতে পারে। 

৫) হিংসুটির দিদি কেমন মেয়ে?  

উ:- লক্ষী শান্ত মেয়ে। 

৬) হিংসুটির বয়স কত?  

উ:- ৭ বছর বয়স। 

৭) হিংসুটি দিদির বয়স কত? 

উ:- আট বছর।  

৮) হিংসুটি দিদি কি কি পড়ে ফেলেছে?  

উ:- 'বোধোদয়', 'ছেলেদের রামায়ণ', ইংরেজি ফাস্ট বুক পড়ে ফেলেছে।  

৯) দিদি ছবির বই প্ৰাইজ পেলে হিংসুটে কি করলো?  

উ:- দিদি ছবির বই প্রাইজ পেলে হিংসুটি সেটা নষ্ট করে ফেলল।  

১০) স্কুলে সে কেমন ফল করতো? 

 উ:- হিংসুটি স্কুলে বকুনি খায়, শাস্তি পায় আর তার দিদি প্রাইজ পায়।  

১১) হিংসুটে দিদির খাবারের দিকে তাকিয়ে কাঁদল কেন?  

উ:- দিদির রসমুন্ডিটা তার থেকে বড় ছিল বলে। 

১২) দিদির জন্মদিনে হিংসুটি কি করে?  

উ:- দিদির জন্মদিনে হিংসুটি বাড়ি মাথায় করে তোলে।  

১৩) একদিন হঠাৎ হিংসুটি মায়ের আলমারি খুলে কি দেখলো?  

উ:- সে মায়ের আলমারিতে একটা সুন্দর পুতুল দেখল।  

১৪) হিংসুটির ভয়ানক রাগ হল কেন?  

উ:- হিংসুটি ভেবেছিল পুতুলটা তার দিদির।  

১৫) কেন হিংসুটির চোখ পেলে জল এলো?  

উ:- এত সুন্দর পুতুলটা তার দিদির এই কথা ভেবে তার চোখ ফেটে জল এলো।  

১৬) কে কাকে ডান্ডা দিয়ে ধাই ধাই করে মারতে লাগলো?  

উ:- হিংসুটি পুতুলটাকে ডান্ডা দিয়ে ধাই ধাই করে মারতে লাগলো।  

১৭) মারার পর সে কি করল?  

উ:- মারার পর সে পুতুলটাকে  বাক্সে তুলে রাখল।  

১৮) মামা কখন হিংসুটিকে ডাকতে লাগলেন?  

উ:- মামা বিকেলে হিংসুটিকে ডাকতে লাগলেন।  

১৯) মামা হিংসুটিকে ডেকে কি বললেন?  

উ:- মামা হিংসুটি কে ডেকে বললেন তিনি তার জন্য একটা পুতুল এনেছেন।  

২০) হিংসুটি বুকের মধ্যে ধরা ধড়াস করে উঠলো কেন?  

উ:- কারণ তার ধারণা হলো নষ্ট করা পুতুলটি তারই ছিল।  

২১) সে কাঁদো কাঁদো গলায় কি বলল?  

উ:- সে বলল সেটা লাল জামা আর লাল জুতো পরানো ছিল কিনা। 

২২) হিংসুটির কথা শুনে মা কি বললেন? 

উ:- হিংসুটির কথা শুনে মা জানতে চাইলেন যে সে পুতুলটা দেখেছে কিনা।  

২৩) হিংসুটি ভ্যা করে কেঁদে এক দৌড়ে পালিয়ে গেল কেন?  

উ:- কারণ সে নিজের পুতুলটাকেই নষ্ট করেছিল তাই।  

২৪) হিংসুটি দিদিকে লক্ষী মেয়ে বলা হয়েছে কেন?  

উ:- সে ছিল শান্ত, লক্ষী। পড়াশোনা করতো আর কাউকে হিংসা করত না। তাই তাকে লক্ষী মেয়ে বলা হয়েছে।  

২৫) মামার দেওয়া পুতুলটা কেমন ছিল? সেটা কোথায় রাখা হয়েছিল?  

উ:- মামার দেওয়া পুতুলটার মিটমিটি চোখ, কচি হাত-পা, ফুটপুটে মুখ ছিল। আর লাল জামা জুতো পড়েছিল। সেটা মায়ের আলমারিতে বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল।  

২৬) হিংসে করা ভালো না এই বিষয়ে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উ:- হিংসে করলে কেউ ভালোবাসে না। যারা হিংসে করে তো সবাই তাদের হিংসুটে বলে। হিংসা না করে সবার সাথে মিলেমিশে থাকলে সবাই ভালোবাসে, কেউ খারাপ বলে না। তাই হিংসা করা মোটেই ভালো নয়।।  

২৭) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা একটি বইয়ের নাম কি?  

উ:- 'বোধোদয়'।  

২৮) পুতুলটির কি রংয়ের জামা ছিল?  

উ:- লাল রংয়ের।



অধ্যায় : মন কেমনের গল্প

১) 'মন কেমনের গল্প' গল্পটি কার লেখা?
উ:- নবনীতা দেবসেনের লেখা।
২) নবনীতা দেব সেন কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
উ:- ১৯৩৮ সালে।
৩) তিনি কার কন্যা?
উ:- তিনি কবি নরেন্দ্র দেব এবং কবি রাধারানী দেবীর কন্যা।
৪) 'স্যালুট করা' শব্দের অর্থ কি?
উ:- 'স্যালুট করা' শব্দের অর্থ হলো অভিবাদন জানানো।
৫) ক্লোরোফিল কি?
উ:- গাছের পাতায় ফাঁকা এমন একটি উপাদান যা পাতার রং সবুজ করে।
৬) 'কাকলি' শব্দের অর্থ কি?
উ:- পাখির ডাক।
৭) বৃষ্টির দিন গুলো রুবাইয়ের এতো ভালো লাগে কেন?
উ:- বৃষ্টির দিনগুলো রুবাইয়ের ভালো লাগে কারণ ওই দিনগুলোতে প্রকৃতির যেন রূপময়ী হয়ে ওঠে আর চারিদিক থেকে বৃষ্টি ভেজা মৃদুমন্দ ঠান্ডা বাতাস এসে মনকে ভরিয়ে তোলে।
৮) আমাদের জাতীয় সংগীত কোনটি?
উ:- 'জনগণমন'।
৯) ১৫ ই আগস্ট দেশ জুড়ে জাতীয় পতাকা পতাকা তোলা হয় কেন?
উ:- ১৫ ই আগস্ট দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা তোলা হয় কারণ ১৫ ই আগস্ট ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
১০) স্কুল রুবাইয়ের কেমন লাগতো?
উ:- তেমন ভালো লাগত না। তার শুধু খেলা করতে মন যেত।
১১) বলাকা শব্দের অর্থ কি?
উ:- সাদা পাখির ঝাঁককে বলাকা বলে।
১২) শক্ত শব্দের মানে রুবাইকে কে বলে দিতেন?
উ:- শক্ত শব্দের মানে রুবাইকে তার দিম্মা বলে দিতেন।
১৩) রুবাইয়ের লেখার খাতা কে দিয়েছিলেন? খাতাটি কেমন?
উ:- রুবাইয়ের লেখার খাতাটা ছোটমামা দিয়েছিলেন এবং খাতাটি সুন্দর বাধানো ছিল।
১৪) লেখার খাতায় রুবাই কোন দিনের কথা লিখেছিল?
উ:- লেখার খাতায় রুবাই ১৫ ই আগস্ট ছুটির দিনের কথা লিখেছিল।
১৫) আমাদের দেশে জাতীয় পতাকায় কয়টি রং আছে এবং সেগুলো কি কি?
উ:- আমাদের দেশে জাতীয় পতাকায় তিনটি রং আছে এবং সেগুলি হলেও গেরুয়া সাদা এবং সবুজ ।
১৬) বৃষ্টির সময় চারিদিকের পরিবেশ কেমন হয়ে যায় ?
উ:- বৃষ্টির সময় চারিদিকটা প্রায় অন্ধকার আচ্ছন্ন হয়ে যায়। সেই সময় শুধু বৃষ্টি পড়ায় শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। গাছগুলো গাছগুলো থরথর দাঁড়িয়ে থাকে। আশেপাশের সমস্ত জায়গা বৃষ্টির জলে ভরে ওঠে।
১৭) বৃষ্টির দিনে রাস্তায় গাছেতে খুশি খুশি দেখায় কেন?
উ:- বৃষ্টির দিনে রাস্তার গাছেরে খুশি খুশি দেখায় কারণ গ্রীষ্মের এবং সূর্যের প্রচণ্ড দাবদাহে গাছপালা নিজেদের যেন সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারে না। সমস্ত কিছুই যেন শুকিয়ে আসে। মাটি থেকে তারা প্রয়োজনমতো রস শোষণ করতে পারে না। তাই বৃষ্টির দিনে রাস্তার গাছেদের খুশি খুশি দেখায়।
১৮) 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে' গানটি কার লেখা?
উ:- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।





অধ্যায় : দেশের মাটি


১) ‘দেশের মাটি' কবিতাটি কার লেখা? উ:- কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা। ২) কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন? উ:- কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ৩) কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কি নামে পরিচিত? উ:- 'ছন্দের যাদুকর' নামে পরিচিত। ৪) 'পায়জোর' শব্দের অর্থ কি? উ:- পায়জোর শব্দের অর্থ হলো নুপুর। ৫) অন্ন পানি শব্দের অর্থ কি? উ:- অন্ন পানি শব্দের অর্থ হলো খাবার ও জল। ৬) তোমার দেশ কোনটি? উ:- আমার দেশ হলো ভারত বর্ষ। ৭) সেই দেশ কেমন? উ:- খুবই সুন্দর। ৮) দেশে থাকতে কবির কেমন লাগে? উ:- দেশে থাকতে কবির মধুর মত লাগে অর্থাৎ খুবই সুন্দর লাগে। ৯) এই কবিতায় এমন একটি ফলের কথা বলা হয়েছে যার মধ্যে খাবার এবং জল দুটোই থাকে কোন ফল সেটি লেখ? উ:- নারকেল। ১০) ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন? উ:- ধানকে এখানে কনক বা সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কারণ ধান পাকলে তা সোনালী রঙের মতো লাগে তাই। ১১) কবিতায় কবি কোন পাহাড়ের কথা বলতে চেয়েছেন যে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে? উ:- হিমালয় পর্বত মালার কথা বলা হয়েছে। ১২) কবিতায় দেশের রূপ বর্ণনায় কবি কোন কোন ফুলের নাম বলেছেন? উ:- লীলা কমল, লবঙ্গ ফুল, বকুল, দোপাটি প্রভৃতি। ১৩) আমাদের দেশের পথের ধুলা কি রকম? উ:- আমাদের দেশের পথের ধুলো খাঁটি সোনার চাইতেও খাঁটি। ১৪) কাদের পাহারাতে দিনে রাতে বদল হচ্ছে? উ:- নাগের ও বাঘের পাহারাতে দিনে রাতে বদল হচ্ছে। ১৫) পা কে ধুইয়ে দেয়? উ:- সাগর পা ধুয়ে দেয়।



অধ্যায় : মা ছেলে

১) 'মা ও ছেলে' কবিতাটি কার লেখা?
উ:- রসময় লাহার লেখা।
২) কবি রসময় লাহা কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উ:- ১৮৬৯ সালে।
৩) কুলুঙ্গি শব্দের অর্থ কি?
উ:- দেয়ালে খাঁজকাটা জায়গা যেখানে জিনিসপত্র রাখা হয়।
৪) কুলুঙ্গিতে কতগুলি সন্দেশ রাখা ছিল?
উ:- তিন জোড়া।
৫) ছেলেটির নাম কি?
উ:- রমেশ।
৬) ছেলেটি কয় জোড়া সন্দেশ দেখতে পায়নি?
উ:- কুলুঙ্গিটি খুব অন্ধকার ছিল বলে ছেলেটি দুজোড়া সন্দেশ দেখতে পায়নি।


অধ্যায় : কিসের থেকে কি যে হয় 


১) কিশোরী মেয়ে বনে কি করতে যায় ? উ :- কিশোরী মেয়ে বনে কাঠ কাটতে যায়। ২) কার লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল ? উ :- কাঠবেড়ালির লেজ কাটারির আঘাতে কেটে গিয়েছিল। ৩) কিশোরী মেয়ে কোন হাতে কাটারি ধরেছিল ? উ :- বাঁ হাতে কাটারি ধরেছিল। ৪) ছোট পাখি কার কানে ঢুকে পড়েছিল? উ :- হাতির কানে। ৫) কিশোরী মেয়েরা কিসের জন্য বনে যেত? উ :- কিশোরী মেয়েরা সকালে কিছু খেয়ে কাঠ কাটার জন্য বনে যেত। কাঠগুলি বেশিরভাগই শুকনো থাকত। দুপুরে ফিরে সেই কাঠগুলো দিয়ে তারা উনুন জ্বালাতো রান্না করবার জন্য। ৬) কাঠবেড়ালি রেগে গিয়েছিল কেন? সে রেগে গিয়ে কি করেছিল? উ :- কাঠবেড়ালি রেগে গিয়েছিল কারণ কাঠ কাটতে এসে মেয়েটির হাত থেকে কাটারি পড়ে গিয়ে তার লেজ কেটে গিয়েছিল। রেগে গিয়ে একটি গাছের উঁচু ডালে উঠে গিয়ে একটা ফলে কামড় দিয়েছিল। ৭) হরিণ ভয় পেয়েছিল কেন? ভয় পেয়ে পাখির কি ক্ষতি করেছিল? উ :- হরিণ ভয় পেয়েছিল কারণ সে গাছের নিচে শুয়ে ছিল তার ওপর গাছ থেকে কাঠবেড়ালি একটি ফল ফেলেছিল আবার যদি তার মাথায় ফল পড়ে তাই সে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। যাবার সময় ছোট পাখিদের বাসা ও ডিম ভেঙ্গে দিয়েছিল। ৮) হাতি কেন চাষিদের ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল? উ :- হাতি যখন জঙ্গলে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ করে একটা ছোট পাখি এসে তার কানে ঢুকে পড়েছিল। তাই সে যন্ত্রনায় দৌড়াদৌড়ি করে চাষীর ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছিল। ৯) কাঠ পিঁপড়ে কিশোরী মেয়েটির কোন হাতে কামড়ে দিয়েছিল? উ :- ডানহাতে। ১০) কিশোরী মেয়েটি কাঠ পিঁপড়ের কোথায় সুতো বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছিল? উ :- কোমরে।  
 


অধ্যায় : আগমনী

১) 'আগমনী' কবিতাটি কার লেখা ?
উ :- প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা। 
২) কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র কত সালে জন্মগ্রহণ করেন ?
উ :- ১৯০৪ সালে।  
৩) শরৎ ঋতুর আগে কোন ঋতু আসে ?
উ :- বর্ষা ঋতু। 
৪) শরৎকালে বাঙ্গালীদের কি কি উৎসব হয় ?
উ :- দুর্গাপুজো কালীপুজো ইত্যাদি হয়। 
৫) শরৎকালের প্রকৃতির রূপ কেমন থাকে ?
উ :- শরৎকালে আকাশে বাতাসে সূর্যের তাপ কমে আসে, প্রকৃতি বিভিন্ন ফুলে ভরে ওঠে চারিদিকে একটা স্নিগ্ধতা বিরাজ করে 
শরতকালের মেঘ দেখতে কেমন। শরতকালের মেঘ দেখতে সাদা পেঁজা তুলোর মত যা ছন্নছাড়া ভাবে আকাশে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। 
৬) শরৎকাল প্রসঙ্গে মনে পড়ে এমন দুটো সাদা জিনিসের নাম করো। 
উ :- আকাশে সাদা মেঘ আর মাঠে সাদা কাশফুল। 
৭) শরৎকাল সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য বলো। 
উ :-শরৎকালে নীল আকাশ দেখা যায় এবং সেই আকাশে মেঘ সাদা মেঘের ভেলা দেখা মেলে। এই সময় মাঠঘাট কাশ ফুলে ভরে ওঠে। শরৎকালের দুই জাতির মহা উৎসব দূর্গাপুজো এবং ঈদ পালিত হয়। এই সময় ছুটিতে সবাই ভ্রমণের জন্য বেরিয়ে পড়ে দূর দূরান্তে। শরৎকাল জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার খুশির আমেজ মনের মধ্যে সারা বছরই থেকে যায়। 
 ৮) প্রেমেন্দ্র মিত্রের সৃষ্ট চরিত্রের নাম কি 
উ :- 'ঘনাদা'। 




অধ্যায় : উড়ুক্কু ভূত



১) শৈলেন ঘোষের জন্ম কত সালে

উ :- ১৯২৮ সালে।

২) কবি শৈলেন ঘোষের লেখা প্রথম কবিতা কোনটা ?

উ :- 'মাস পয়লা'।

৩) ভূতকে প্রথমে কে দেখতে পেয়েছিল ?

উ :- কাক ছানা।

৪) কাক ছানাটা কোন গাছের ডালে বসে ছিল ?

উ :- নিম গাছের ডালে বসে ছিল।

৫) আমড়া গাছে কে বসেছিল ?

উ :- হুতুম মুখো পেঁচা।

৬) কে কুটকুট করে বেগুন গাছের কচি পাতা খাচ্ছিল ?

উ :- গুটি পোকা।

৭) ভূতের চেহারা কেমন ?

উ :- ভূতের চেহারাটা ছিল ড্যাবরা ড্যাবরা চোখ, থ্যাবরা থ্যাবরা নাক আর ফিনফিনে ফুরফুর। হাত নেই, পা নেই। ধর কাটা, নড়া ছটকানো ভূত।

৮) ভূতকে দেখে হুতুম মুখো প্যাঁচার অবস্থা কেমন হয়েছিল ?

উ :- হুতুমমুখো পেঁচা ভূতকে দেখে অজান্তে গম্ভীরভাবে ধমকে উঠেছিল। তারপর সে বাঁ চোখ খুলে ডান চোখ বুজেছে আবার ডান চোখ বুজিয়ে বাঁ চোখ খুলেছে ব্যাস অমনি সোনার চাঁদের পিলে শুকিয়ে পাঁপড় ভাজা হয়ে গিয়েছিল। তারপর ভয় পেয়ে গিয়ে গিয়ে ঢোক গিলতে গিলতে দম আটকে স্বর্গে চলে গেছে।

৯) গুটি পোকা ভূতকে দেখে কি করেছিল আর মনে মনেই বা বলেছিল ?

উ :- গুটি পোকা ভূতকে দেখে এদিক থেকে ওদিক ঘুরে বসেছিল। আর মনে মনে বলেছিল "ছাই, ভূত না আরো কিছু"।

১০) বৃষ্টি নামার পর ভূতের অবস্থা কেমন হয়েছিল ?

উ :- বৃষ্টিতে ভিজে ভূতের চোখ দিয়ে নাক দিয়ে মুখ দিয়ে জলে গোলা রঙ বেরিয়ে এসেছিলা। শেষে মনে হল এটা একটা খবরের কাগজ। কে যেন তাতে ভূতের  ছবি এঁকে দিয়েছিলো। 

১১) গুটি পোকা কোন গাছে ছিল ?

উ :- বেগুন গাছে। 

১২) কাঠবেড়ালি কোন গাছে ছিল ?

উ :- পেয়ারা গাছে। 

১৩) হুতুম পেঁচা কোথায় ছিল ?

উ :- আমড়া গাছে। 

১৪) কাক  ছানা কোথায় ছিল ?

উ :- নিম গাছের ডালে। 






অধ্যায় : কে ছিলেন ইশপ

১) 'নিষ্ঠা' শব্দের অর্থ কি? 
উ:- নিষ্ঠা শব্দের অর্থ হলো মনোযোগ।  
২) উপদেশ মানে কি?  
উ:- পরামর্শ।  
৩) অনুবাদ মানে কি?  
উ:- তরজমা বা অন্য ভাষায় পরিবর্তন করা।  
৪) সততা শব্দের অর্থ কি?  
উ:- সাধুতা বা ভালো গুণ।  
৫) শেয়াল কিছুতেই কিছু নাগাল পায়নি?  
উ:- আঙুর গুচ্ছের।  
৬) শেয়াল শেষে কি বলে চলে গিয়েছিল?  
উ:- আঙ্গুর ফল টক বলে চলে গিয়েছিল।  
৭) খরগোশ কেমন ছিল?  
উ:- খুব অহংকারী ছিল।  
৮) খরগোশ কার কাছে দৌড় প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছিল?  
উ:- কচ্ছপের কাছে। 
৯) খরগোশ কেন হেরে গিয়েছিল?  
উ:- খরগোশ ছিল অহংকারী আর কচ্ছপ ছিল নিষ্ঠাবান তাই খরগোশ হেরে গিয়েছিল।  
১০) রাখাল ছেলে কি করতো? 
উ:- রাখাল ছেলে মিছি মিছি বাঘ বাঘ বলে চেঁচাতো। 
১১) ইশপ কোন দেশের মানুষ ছিলেন? 
 উ:- গ্রীস দেশের। 
১২) ইশপ কাদের নিয়ে গল্প বানাতেন? 
 উ:- পশু পাখিদের নিয়ে।  
১৩) ঈশপের প্রভু কে ছিলেন?  
উ:- রাজা ক্রোসাস।  
১৪) তিনি ইশপকে কোথায় পাঠিয়ে ছিলেন? 
উ:- ডেলফিতে পাঠিয়েছিলেন।  
১৫) সেই জায়গাটি কেন বিখ্যাত ছিল?  
উ:- ভবিষ্যৎ বাণীর জন্য বিখ্যাত ছিল।  
১৬) সেখানকার মানুষ কেমন ছিল?  
উ:- সেখানকার মানুষ খুব লোভী ছিল।  
১৭) তাদের আচরণ দেখে ইশপ কোন গল্প বাঁধলেন? 
উ:- তাদের আচরণ দেখে ঈশপ সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প লিখলেন বা বাঁধলেন।  
১৮) নীতি গল্প কাকে বলে?  
উ:- যে গল্প থেকে নীতি শিক্ষা পাওয়া যায় তাকেই নীতি গল্প বলা হয় । 
১৯) আমাদের জীবনে কোন গুনগুলি জরুরী?  
উ:- আমাদের জীবনে দয়া,মায়া, ভালোবাসা, সততা, কৃতজ্ঞতা, পরোপকার, শ্রদ্ধা, ভক্তি প্রকৃতির গুণগুলি থাকা প্রয়োজন।  
২০) অনুবাদ বা তরজমা কাকে বলে?  
উ:- এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কোন কিছু পাল্টানো কে অনুবাদ বা তরজমা বলে।  
২১) ঈশপের গল্প বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় কেন?  
উ:- কারণ গল্পগুলি মজার ছলে আমাদের নীতি শিক্ষা দেয়।  
২২) ঈশপ কে কেন মানবজাতির সবচেয়ে বড় শিক্ষকদের একজন বলা হয়েছে?  
উ:- কারণ তিনি গল্পের মধ্যে দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছেন।  
২৩) ঈশপ কে ছিলেন একজন?  
উ:- ক্রীতদাস।  
২৪) একটা হাসি কি পারতো? 
উ:- সোনার ডিম।





অধ্যায় : পানতা বুড়ি



১) 'পানতা বুড়ি' গল্পটি কার লেখা?  
উ:- যোগীন্দ্র নাথ সরকারের লেখা। 
২) গাঁ শব্দের অর্থ কি?  
উ:- গাঁ শব্দের অর্থ হলো গ্রাম।  
৩) পানতা শব্দের অর্থ কি?  
উ:- পানতা শব্দের অর্থ হলো জল ঢালা বাসি ভাত।  
৪) পানতা বুড়ির নাম অমন হল কেন?  
উ:- পানতা ভাত খেতে বলে।  
৫) পানতা বুড়ির দিন চলত কেমন করে?  
উ:- ভিক্ষা করে।  
৬) পানতা বুড়ি কার জ্বালায় অস্থির?  
উ:- চোরের জ্বালায়।  
৭) অস্থির হয়ে পানতা বুড়ি কি করতে চলল?  
উ:- নালিশ করতে।  
৮) রাস্তায় প্রথমে তার কার সঙ্গে দেখা হলো?  
উ:- বেলের সাথে।  
৯) কিছুটা দূরে গিয়ে পানতা বুড়ির সঙ্গে কার দেখা হলো?  
উ:- শিঙি মাছের। 
১০) যোগীন্দ্রনাথ সরকার কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?  
উ:- ১৮৬৬ সালে।  
১১) ছুঁচ বুড়িকে কি বলল?  
উ:- বাড়ি নিয়ে যেতে।  
১২) ক্রমে বুড়ির মাথা গরম হয়ে উঠলো কেন?  
উ:- একই উত্তর দিতে দিতে।  
১৩) বিরক্ত হয়ে বুড়ি কাকে কি বলেছিল?  
উ:- ছুরিকে বলেছিল যেথায় যাই না কেন তাতে তোর কি । 
১৪) রাজার বাড়ি কাছে গিয়ে বুড়ি কি দেখলো?  
উ:- একটা কুমির পড়ে আছে।  
১৫) বুড়ি রাজ বাড়িতে কখন পৌঁছালো?  
উ:- বেলাশেষে।  
১৬) নালিশ করা হলো না কেন?  
উ:- রাজা শিকারে গিয়েছিলেন সেই জন্য বুড়ির আর নালিশ করা হলো না।  
১৭) ফিরবার পথে সে কি কি নিয়ে এলো?  
উ:- ফিরবার পথে সে বেল শিঙি মাছ, সূঁচ, ছুরি আর কুমির নিয়ে এলো।  
১৮) শিঙি মাছ কি বলল?  
উ:- তাকে পানতার  হাড়িতে রাখতে। 
১৯) বেল কি বললো?  
উ:- উনুনে রাখতে।  
২০) সূচকে কোথায় রাখতে বললো?  
উ:- দেয়ালে পুঁতে।  
২১) ছুরি কোথায় গোজা ছিল?  
উ:- উঠোনের ঘাসে।  
২২) কুমির কোথায় ছিল? 
উ:- বাড়ির পুকুরে।  
২৩) কাকে বেঁধে রাজার কাছে হাজির করার হলো?  
উ:- চোরকে।  
২৪) কে চোরের চোখ অন্ধ করে দিয়েছিল?  
উ:- বেল। 


অধ্যায় : ঘুমিয়ো নাকো আর


১) 'ঘুমিয়ো নাকো আর' কবিতাটি কার লেখা ? 
উ :- বিমল চন্দ্র ঘোষ এর লেখা।  
২) বিমল চন্দ্র ঘোষ কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ? 
উ :- ১৯১০ সালে।  
৩) কে বুকে রূপকথা জড়িয়ে ঘুমে মগ্ন ? 
উ :- খোকন।  
৪) 'কল্পলোক' মানে কি ? 
উ :- 'কল্পলোক' কথার অর্থ হল কল্পনার পৃথিবী।  
৫) কে চরকা কাটে ? 
উ :- স্বপ্নবুড়ি চরকা কাটে।  
৬) দিগন্তহীন মাঠটির নাম কি ? 
উ :- তেপান্তরের মাঠ।  
৭) ঝিল্লিরা কিভাবে ডাকে ? 
উ :- রিমঝিম ঝিম ঝিরির ঝিঝির করে ডাকে।  
৮) নিঝুম রাতে অশত শাখে কে চেঁচায় ? 
উ :- হুতুম পেঁচা।  
৯) জানলা দিয়ে কে মুখ বাড়ায় ?  
উ :- রাজপুত্রের ঘোড়া।  
১০) তার সাজ পোশাক কি রকম ? 
উ :- মাথায় মুক্ত গাঁথা ঝালর আর হিরের লাগাম।  
১১) কে কাকে পিঠের উপর বসিয়ে কোথায় নিয়ে যেতে চায় ?  
উ :- ঘোড়া রাজপুত্রকে পিঠের উপর বসে অচিন দেশে নিয়ে যেতে চায়।  
১২) কড়ির পাহাড় পেরিয়ে কোন দেশ ? 
উ :- অচিন দেশ।  
১৩) অচিন দেশে কে থাকে ? 
উ :- রূপ কুমারী থাকে।  
১৪) রূপকথার দেশটি কেমন ? 
উ :- থমথমে।  
১৫) ঘোড়াটির চোখগুলি কেমন ? 
উ :- ডাগর। 





এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমাদের পরিবেশ তৃতীয় শ্রেণি প্রশ্নোত্তর | পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সিলেবাস ও সমাধান

Easy English Grammar Learning: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) বাংলামাধ্যম শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ গাইড